নারায়ণগঞ্জরাজনীতি
আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবসে গণসংহতি আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জের বিবৃতি

আজ ৩০ আগষ্ট মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস।
আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবসে
গণসংহতি আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন এবং নির্বাহী সমন্বয়কারী অঞ্জন দাস যৌথ বিবৃতিতে বলেন, গুম দেশের সংবিধান, বিদ্যমান আইনী শাসন, বিচার ব্যবস্থার মতো ‘প্রাতিষ্ঠানিক বাধ্যবাধকতা’ থেকে ‘রাষ্ট্রের বলপ্রয়োগের ক্ষমতাকে একচ্ছত্র’ করার জন্য শাসকগোষ্ঠীর ত‘হস্তক্ষেপের নতুন পন্থা সৃষ্টির’ একটি উপায়। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেভাবে এদেশের লেখক,কবি সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, রাজনৈতিক কর্মীকে গুম এবং হত্যা করে, আমরা দেখছি বর্তমান সরকার একই কায়দায় রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করে গুম-খুন, নির্যাতন বহাল রেখেছে। আমরা এই গুম-খুন, নির্যাতনের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। এবং পরিস্কার ভাবে বলি গুম-খুন, নির্যাতন চালিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাকে দখল করে রাখা যাবে না, দীর্ঘায়িত করা যাবে না।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ঢাকাভিত্তিক অধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ৫২৪ জন মানুষ গুম হয়েছেন। এই ৫২৪ জনের মধ্যে ১৯০জন ফিরে এসেছেন, অথবা তাঁদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে এবং বাকিদের কোনো হদিশ পাওয়া যায়নি। দৃশ্যত গুমের সর্বশেষ ভুক্তভোগী কাতার ও ভিয়েতনামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মারুফ জামান। এর আগে একই ঘটনা ঘটেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুবাশ্বের হাসান, বই আমদানিকারক তানভীর ইয়াসিন করিম এবং সাংবাদিক উৎপল দাসের ক্ষেত্রে। অবিলম্বে এই রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে। গুম হওয়া সকলকে তাদের পরিবারের কাছে ফেরত দিতে হবে এবং গুম-খুনের সাথে জড়িত রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে জবাবদিহিতা এবং বিচারের আওতায় আনতে হবে।