ঢাকারাজনীতি

অর্থের অভাবে চিকিৎসা ব্যাহত যুব মহিলালীগের নেত্রী মাহফুজা রিনার, প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি কামনা

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকাঃ অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না যুব মহিলালীগের নেত্রী মাহফুজা রিনা । বিগত দিনে সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী আন্দোলনে মাহফুজা রিনা ভূমিকা ছিল অনবদ্য। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর কিশোর বয়সেই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের দাবিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন রাজপথে। এছাড়া তৃণমূল পর্যায়ের শত শত কর্মীকে সুস্থ, সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতির দীক্ষাও দিয়েছেন তিনি।

বাল্যকাল থেকে জাতীয় শিশু কিশোর সংগঠন ‘খেলাঘর’ এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন মাহফুজা রিনা। এছাড়া শিক্ষা, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে তার সংশ্লিষ্টতা ছিল চোখে পড়ার মতো। বিগত নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ছিলেন অনাবদ্য। নির্বাচনের পরবর্তি সময়ে নেমে আসে জীবনের আমানিশার ঘন কালো অন্ধকার । বর্তমানে ব্রেন স্টক করে বিছানায় লড়ছেন আওয়ামী লীগের দুর্দিনের এ কান্ডারি। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে না পারায় সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে এক খোলা চিঠিতে নিজের দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের বর্ণনা দিয়ে মাহফুজা রিনা লিখেছেন, প্রাণপ্রিয় নেত্রী, আপনি মাদার অব হিউম্যানিটি। আপনার মমতাময়ী মনের রূপ আজ সারা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। বর্তমানে আমার এ কষ্টদায়ক পরিস্থিতিতে আপনার মমতাময়ী হাত সদয়ভাবে বাড়িয়ে দেবেন এটা আশা করতে পারি। আমার চিকিৎসা চালিয়ে নিতে আপনার সদয় আর্থিক সহযোগিতায় আমাকে বাধিত করবেন। আমি মাহফুজা রীনা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক । বর্তমানে বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ কেন্দ্রীয় কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত আছি। সংগঠন থেকে অর্পিত সকল দায়িত্ব পালন করেছি নিঃস্বার্থ ভাবে। বর্তমানে সারা পৃথিবীর জন্য ক্রান্তিকাল এই করোনা মহামারি চলাকালীনও সরকারের তরফ থেকে খাদ্য সামগ্রী ও আর্থিক অনুদান সর্ব সাধারনের হাতে পৌছিয়ে দেওয়ার কাজ করেছি এবং করে যাচ্ছিলাম। এমতাবস্থায় ১৭ মে ১৯ইং ইফতার করার সময় আমার ব্রেইন স্ট্রোক হয়। ফলে আমার ডান হাত ও পা প্যারালাইজড হয়ে গেছে এবং বাকশক্তি নষ্ট হয়ে গেছে। ১৭মে থেকে ৩ জুন পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলাম। ৩ জুন হাসপাতাল থেকে রিলিজ করে দিলে বাড়ীতেই চিকিৎসা গ্রহণ করছি। তবে অত্যন্ত ভরাক্রান্ত মনে আপনাকে জানাচ্ছি অর্থাভাবে আমার চিকিৎসা প্রায় বন্ধ । আমার বাবা নেই, আয়ের তেমন কোন উৎস নেই এবং আমার চিকিৎসা চালিয়ে নেওয়ার মত আমার পরিবার সমর্থ নয়। তাই চিকিৎসার জন্য আপনার সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতা লায়ন চিত্ত রঞ্জন দাস বলেন, মাহফুজা রিনা আওয়ামী লীগের একজন পরীক্ষিত সৈনিক।মাহফুজা রিনা নিতান্তই একজন জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করেছেন। তিনি আরো বলেন, চিকিৎসকেরা মাহফুজা রিনাকে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এ ব্যাপারে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করি। তার মতো একজন ত্যাগী নেতাকে আমরা বিনা চিকিৎসায় হারাতে চাই না।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close