নারায়ণগঞ্জরাজনীতি
নারায়ণগঞ্জে বিএনপির সাথে পুলিশের সংঘর্ষে আহত শতাধিক, নিহত ১

নারায়ণগঞ্জে বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শহরে র্যালী বের করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয় এবং এক পর্যায়ে পুলিশ বিএনপির নেতার্কীদের উপর লাঠির্চাজ করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসমেয় বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টা থেকে বেলা সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শাওন নামে এক যুবদল নেতা নিহত হয়েছেন। নিহত যুবদল নেতা শাওন ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের গোপাল নগর এলাকার শাহেদ আলীর ছেলে। সে গ্রিল ওয়ার্কশপে কাজ করতো।
তার মরদেহ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক নাজমুল হোসেন। এছাড়াও সংঘর্ষে পুলিশ, সাংবাদিক, বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদলের শতাধিক লোক গুলিবিদ্ধ ও মারাত্মক আহত হয়েছেন।
গুলিবিদ্ধসহ আহতরা হলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সদস্য সাদেকুর রহমান সাদেক, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খোকন ফারুক খোকন, সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, জেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন চৌধুরী সালামত, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সহিদুল ইসলাম স্বপন, যুগ্ম সম্পাদক শাহিন আহমেদ, মহানগর যুবদল নেতা সাহাদুল্লাহ মুকুল, মো. ইব্রাহীম, নাঈম মিরাজ, মো. মোতালিব, সুমন হোসেন, সাগর হোসেন, আবু সুফিয়ান, কায়সার হামিদ, নুরুল ইসলাম, নাসির উদ্দিন, খোকন মিয়া, বন্দর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মহি উদ্দিন শিশির, সোনারগাঁ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক নোবেল মীর, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সুলতান মাহমুদ, যুগ্ম সম্পাদক রাকিব হাসান রাজ, সোনারগাঁ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মনির হোসেন, পিয়ার হোসেন নয়ন,কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুল সাত্তার, দুপ্তারা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আহত রমজান হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা ওমর ফারুক, মহানগর ছাত্রদল নেতা ইব্রাহিম, তুহিন, প্রিতম, ফারুক, পায়েল, মিনহাল, ইমন, সিমান্ত, মোক্তাদির মো. বাদল ভুল, নাবির হোসেন নবীন, রাসেল প্রধান, জুয়েল আরমান, ফারুক হোসেন সুজন, মো. আকিব, মো. আলিব, শাহিন, জাহাঙ্গীর, রাজু, শরীফ, ইউনুস, সাগর, আব্দুস সালাম,মো. আখতার, মুন্না, মো. কাদির, শরীফুল ইসলাম, মো. সবুজ, মোমেন, শিহাব , শামসুল হক, মো. ইব্রাহিম, আশরাফুল, গার্মেন্ট শ্রমিক তাজুল ইসলাম, শহরের করিম মার্কেটের ইউএস হোসিয়ারীর শ্রমিক সোয়াদ হোসেন, উজ্জল ভৌমিক, মিন্টু, সজিব, মো. নাসির, পথচারী শাহনাজ বেগম, শিল্পী, দীপ্ত টিভির জেলা প্রতিনিধি গৌতম সাহা ও মোহনা টিভির জেলা প্রতিনিধি আজমির ইসলাম । এদের মধ্যে মো. বাদল, নাবির হোসেন নবীন, রাসেল প্রধান, জুয়েল আরমান, ফারুক হোসেন সুজন, মো. আকিব, সুলতান মাহমুদ, মো. আলিব ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে ছাত্রদল নেতা ফারুক হোসেন সুজনের অবস্থা আশংকাজনক।
এছাড়া নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধরা হলেন- শাহিন, জাহাঙ্গীর, রাজু, শরীফ, ইউনুস, সাগর, আব্দুস সালাম,মো. আখতার, মুন্না, মো. কাদির, শরীফুল ইসলাম, মো. সবুজ, মোমেন, শিহাব , শামসুল হক, মো. ইব্রাহিম, আশরাফুল, গার্মেন্ট শ্রমিক তাজুল ইসলাম, শহরের করিম মার্কেটের ইউএস হোসিয়ারীর শ্রমিক সোয়াদ হোসেন, উজ্জল ভৌমিক, মিন্টু, সজিব, মো. নাসির, পথচারী শাহনাজ বেগম, শিল্পী, দীপ্ত টিভির জেলা প্রতিনিধি গৌতম সাহা, মোহনা টিভির জেলা প্রতিনিধি আজমির ইসলাম ।
অন্যদিকে, টিয়ারশেলে নগরীর ডিআইটি এলাকায় অবস্থিত মর্গ্যান স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আয়শা সুলতানা, লামিয়া, আফসানা মীম, মিমিয়া, রোকেয়া, অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী উম্মে হানী, আঁখি, উম্মে কুলসুমসহ ১০ ছাত্রী আহত হয়েছেন।