আড়াইহাজারনারায়ণগঞ্জরাজনীতি
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভায় নীলা ইস্যুতে তুমুল হৈ চৈ

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) জেলা আওয়ামী লীগের কার্য-নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় সম্প্রতি রুপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌসি আলম নীলাকে বহিস্কারের ঘটনায় তুমুল হৈচৈ হয়েছে। কমিটির অনেকেই অভিযোগ করেন, তাদের না জানিয়ে নীলাকে বহিস্কার করা হয়েছে। এটি রীতিমত স্বেচ্ছাচারিতা। এ ঘটনায় কমিটির অধীকাংশ সদস্যই জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরোধীতা করেছেন। পরে নীলার বহিস্কার আদেশ প্রত্যাহারের বিষয়ে হাইকমান্ডকে অবহিত করার আশ্বাস প্রদান করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তবে সভায় একাধিক সদস্য নীলার বিষয়ে বিব্রতবোধ করেন। তারা জানান, জেলা আওয়ামীলীগ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা সঠিক। কারণ নীলার কারণে আওয়ামীলীগের ইমেজ প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই। সঞ্চালনায় ছিলেন, সাধারণ সম্পাদক এড. আবু হাসানাত মো. শহিদ বাদল।
এসময় জেলা কমিটির নেতারা আগামী জাতীয় নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ জেলায় পাঁচটি আসনে নৌকার মনোনয়ন দেওয়ার দাবী জানানো হয়। লাঙ্গল যাতে আর না দেওয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতিক, জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুন্দর আলী, আড়াইহাজার উপজেলা চেয়ারম্যান মুজাহিদুর রহমান হেলো সরকার, সোনারগাঁওয়ের সাবেক এমপি কায়সার হাসনাত ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মরিয়ম কল্পনা রহমানসহ প্রমুখ।
প্রসঙ্গতঃ পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী এমপি বীর প্রতীকের কোঠায় জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদকের পদ বাগিয়ে নিয়েছিল ফেরদেসৗ আলম নীলা। নীলার নানা দুর্নীতি অনিয়ম নিয়ে জাতীয় দৈনিকের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ ঘটনায় নীলাকে জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে ৪ আগস্ট গণমাধ্যমে প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠায় জেলা আওয়ামশীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। ১০ আগস্ট বুধবার রূপগঞ্জের পূর্বাচলে নির্মিত ‘ পূর্বাচল লেডিস ক্লাব’ গুড়িয়ে দিয়েছে রাজউক। পূর্বাচলের ১৩ নাম্বার সেক্টরে খেলার মাঠ দখল করে এবং আবাসিক প্লটে গড়ে তোলা এই ক্লাবকে অবৈধ ঘোষনা করে দিনভর অভিযান চালিয়ে তারা এই স্থাপনা উচ্ছেদ করেন।