অপরাধআইন ও অধিকারনারায়ণগঞ্জ
চলন্ত বাসে গণধর্ষণের শিকার গার্মেন্টস শ্রমিক, বাস চালক গ্রেফতার

কুষ্টিয়া থেকে নারায়ণগঞ্জে আসার সময় ঈগল পরিবহনের একটি বাসে ৬ ডাকাত কর্তৃক গণধর্ষণের শিকার হয়েছে এক নারী গার্মেন্টস শ্রমিক। ধর্ষণের শিকার ওই নারী নারায়ণগঞ্জের একটি গার্মেন্টেস এ কাজ করেন।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী সুত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) রাতে কুষ্টিয়া থেকে ঈগল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ২৪/২৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার দিকে রওনা দেয়। গভীর রাতে সিরাজগঞ্জ পৌঁছালে সেখান থেকে একদল ডাকাত যাত্রীবেশে ওই বাসে উঠে পড়ে। বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর ডাকাতদল বাসটি কব্জায় নেয়। এরপর বাসে থাকা সব যাত্রীর হাত, পা ও চোখ বেঁধে মারধর ও লুটপাট করা হয়। এ সময় বাসের ভেতরেই ওই নারী যাত্রীকে ডাকাতদল ধর্ষণ করে। বুধবার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া জামে মসজিদের পাশে বাসটি বালুর স্তূপের পাশে কাত করে ফেলে পালিয়ে যায়।
এদিকে, এঘটনায় মামলার মূল হোতা বাস চালক রাজা মিয়াকে গ্রেফতার করেছে টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) ভোরে টাঙ্গাইল শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল জেলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার গণমাধ্যমকে জানান, ভুক্তভোগী নারী যাত্রীকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত ১০ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেছে বাসের এক যাত্রী। রাজা প্রাথমিকভাবে পুলিশকে জানিয়েছেন, ডাকাতির সময় তিনি পুরো তিন ঘণ্টা বাস চালিয়েছেন। তিনি ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত নন। অন্যরা ওই নারীকে ধর্ষণ করেছেন। গ্রেফতারকৃত রাজাকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।