আইন ও অধিকারসিলেট বিভাগ

অবশেষে শ্রীমঙ্গলের চাঞ্চল্যকর নাবালিকা ধর্ষণের পলাতক ধর্ষক চন্দন ধর গ্রেফতার

অবশেষে শ্রীমঙ্গলের চাঞ্চল্যকর নাবালিকা ধর্ষণের পলাতক ধর্ষক চন্দন ধর গ্রেফতার

কে এস এম আরিফুল ইসলাম, মৌলভীবাজার::

মৌলভীবাজার জেলার জগৎসি সূত্রধর বাড়ী থেকে শ্রীমঙ্গল ও সদর থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে চাঞ্চল্যকর নাবালিকা ধর্ষণ মামলার আসামি চন্দন ধর (৪৫) কে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শনিবার(১৬ই এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩ ঘটিকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ ব্যাপারে সন্ধ্যারপর থেকেই অভিযানে র‌্যাবও মাঠে কাজ করেছিল বলে সূত্র জানায়। কিন্তু পুলিশ তার আগেই আসামি চন্দন কে আটক করতে সক্ষম হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযানে থাকা শ্রীমঙ্গল থানার এসআই আসাদুর রহমান জানান, সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টার কারনেই চাঞ্চল্যকর নাবালিকা ধর্ষণ মামলার আসামি চন্দন ধর কে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আটক করতে সফল হয়েছি। আশাকরি আপনাদের সকলের সহযোগিতা পেলে শ্রীমঙ্গলে কেউ যতোবড়ই ক্রাইম করুক না কেন পুলিশের হাতথেকে পালানোর কোন সূযোগ পাবে না।

পুলিশ সূত্রে আরো জানা যায়, শনিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে শ্রীমঙ্গল শহরের স্টেশন রোডস্থ হিরন্ময় প্লাজার তিন তলার একটি বাসা থেকে শহরের শাহীবাগ এলাকার বাসিন্দা ঐ নাবালিকা মেয়েকে হাত-পা বাধা অবস্থায় উদ্ধার করেছে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ। এসময় শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ বাসার গৃহিণী ও চন্দন ধর এর মা সাধনা ধর (৬০) এবং চন্দন ধর এর স্ত্রী পূর্ণা ধর (৩০) নামে দুই নারীকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই স্থান থেকে ধর্ষক পালিয়ে যায়।

উল্লেখযোগ্য যে, গতকাল শনিবার শ্রীমঙ্গল থানায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হলে, মেয়েটি সাংবাদিকদের কাছে তার উপর দীর্ঘ দেড় বছর যাবত লোমহর্ষক নির্যাতনের বর্ণনা দেয়। মেয়েটি জানায়, গত দেড় বছর আগে শহরের ষ্টেশন রোড়ের হিরম্ময় প্লাজার তিন তলার বাসিন্দা ও ‘অরেঞ্জ ফ্যাশন’র মালিক চন্দন ধর (৪৫) এর বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ নেয় । কাজে যোগ দেয়ার কয়েকদিনের মাথায় চন্দন ধর তার খারাপ দৃষ্টিতে পরে ওই গৃহকর্মী ওপর তখন তাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। পরে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে গত দেড় বছর ধরে তাকে ধর্ষণ করে আসছিল। এসব জানার পরও বাসার লোকজন চন্দনের ভয়ে বাধা দেয়নি বলে মেয়েটি জানায়।

মেয়েটি অভিযোগ করে, শনিবার সকালে চন্দন ধর তাকে আবারও ধর্ষণের চেষ্টা করলে সে বাধা দেয়। এতে চন্দন শারীরিক নির্যাতন করে তার হাত-পা বেঁধে একটি ঘরে ফেলে রাখে। স্থানীয়রা জানায়, শনিবার মেয়েটির আত্ম-চিৎকার শুনে তারা পুলিশকে খবর দেয় । এ খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল থানার ওসি (তদন্ত) হুমায়ুন কবিরের নেতৃত্বে পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থল থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এসময় প্রাথমিকভাবে মেয়েটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে নির্যাতনের চিহ্ন দেখা গেছে। মেয়েটির ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মেয়েটি নিজেই বাদী হয়ে চন্দন ধরসহ ৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close