অপরাধজাতীয়নারায়ণগঞ্জসোনারগাঁও

ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণঃ নারায়ণগঞ্জ আদালতে মামুনুল হক

সোনারগাঁ থানায় ধর্ষণ মামলায় ১০ম দফায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়েছে হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হককে। মঙ্গলবার (৬ জুন) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্য দিয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে তাকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়। দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

আজ তার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য পাঁচজনকে সমন দেওয়া হয়েছিল। তাদের মধ্যে মামলার বাদী কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার ছেলে চার্জশিটে ৩১ নম্বর সাক্ষী আব্দুর রহমানসহ দুজন সাক্ষী উপস্থিত হয়েছেন। অন্য দুজন হলেন চার্জশিটের ৩৩ নম্বর সাক্ষী সাংবাদিক এনামুল হক বিদ্যুৎ ও ৩৪ নম্বর সাক্ষী সাংবাদিক নুরনবী।

এদিকে, সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আবার কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হবে মামুনুল হককে। তার বিরুদ্ধে সর্বশেষ গত ২৫ এপ্রিল সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ২০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী একেএম ওমর ফারুক নয়ন গণমাধ্যমকে বলেন, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে মামলার বাদী জান্নাত আরা ঝর্ণার ছেলে আব্দুর রহমান ও পুলিশ সদস্যসহ পাঁচজনের সাক্ষ্য দেওয়ার কথা রয়েছে। সেজন্য মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়েছে। আমরা সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য প্রস্তুত রয়েছি।

এর আগে ২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর প্রথম দফায় মামুনুল হকের উপস্থিতিতে কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার সাক্ষ্য নেন আদালত। একইসঙ্গে ওই বছরের ৩ নভেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলায় বিচারকাজ শুরুর আদেশ দেওয়া হয়।

২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওইসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে তাকে ঘেরাও করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর করেন এবং তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান।

ঘটনার পর থেকেই মামুনুল হক মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করে আসছিলেন। এসময় পুলিশ তাকে নজরদারির মধ্যে রাখে। এরপর ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় মামুনুলকে।

পরে এ ঘটনায় ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী। তবে ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close