জাতীয়নারায়ণগঞ্জরুপগঞ্জ

তেলের মূল্য কারসাজিতে উচ্চ পর্যায়ে ব্যবসায়ীরা জড়িত

সয়াবিন তেলের মুল্য কারসাজিতে উচ্চ পর্যায়ে ব্যবসায়ীরা জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার। তার দাবি গত পনের-বিশ দিনের বাজার তদারকি করে যে ফাইন্ডিংস পেয়েছেন তাতে দেখা গেছে খুচরা ব্যবসায়ীরা মুল্য কারসাজিতে জড়িত নয়। মিল মালিক ও বড় বড় ডিলার, পরিবেশক, এজেন্ট এবং পাইকারি ব্যবসায়ীরা মাহে রমজানকে সামনে রেখে মুনাফা করার জন্য সোয়াবিনের দাম বাড়িয়ে ভোক্তারে কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।

রবিবার দুপুর ১২ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত রূপগঞ্জের টিকে গ্রুপের মেসার্স শবনম অয়েল (পুষ্টি ব্র্যান্ড) মিলে তাদারকি শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, খুচরা ব্যবসায়ী,পাইকারি ব্যবসায়ী, মৌলভী বাজারের এস ও বা ডিও ব্যবাসায়ী, সরেজমিনে তেল উৎপাদনকারি মিলগুলো পরিদর্শন ও তদারিক করে প্রাথমিকভাবে এই চিত্র পেয়েছেন। মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, প্রতি বছর রমজান মাসের দুই / তিন মাস আগে থেকে হঠাৎ করে কোনো কারন ছাড়াই ভোজ্যতেলসহ নিত্য প্রয়োজননীয় সামগ্রীর দাম বেড়ে যায়। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অধিক মুনাফা করার জন্য এই কাজটি করে থাকেন। এই অনিয়ম থেকে বের হয়ে আসার জন্যই বাণিজ্য মন্ত্রনালয়েল নির্দেশে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর ব্যবসায় একটি কাঠামোগত পরিবর্তন আনার তদারকি করছে। তাদের এই তদারকির সামগ্রীক চিত্র তুলে ধরে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে সুপারিশ আকারে দাখিল করবেন।

মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, শবনম অয়েল মিলে পর্যাপ্ত পরিমান সোয়াবিন তেল মজুদ আছে। সরবরাহ স্বাভাবিক আছে। কিন্তু গত ২৪ ফেব্রুয়ারী এই মিলে অভিযান চালিয়ে দেখা যায়, তিন চারটি ট্রাকে করে সোয়াবিন তেল ডেলিভারী দেয়া হচ্ছে। কিন্ত আজ বিপুল সংখ্যক ট্রাকে তেল ডেলিভারী দেয়া হচ্ছে। এটা একটা পরিবর্তন লক্ষ করা গেছে। এছাড়া তাদের ডিসেম্বর, জানুয়ারী, ফ্রেব্রুযারী এবং আজকে পর্যন্ত মার্চ সাসের সরবরাহ (ডেলিভারী )হিসেবে খতিয়ে দেখে বেশ কিছু বিচ্যুতি পাওয়া যায়। ডিসেম্বর মাসের প্রথম ১০ দিনে সোয়াবিন তেল মিল থেকে ডেলিভারী যায় ৭১ লক্ষ লিটার। কিন্তু জানুয়ারী মাসে প্রথম দশ দিনের হিসেবে দেখা যায় মাত্র তেল ডেলিভারী হয়েছে মাত্র ৭ লাখ ৪ হাজার লিটার।

তবে টিকে গ্রুপের পরিচালক সফিউল আক্তার তাসলিমের দাবি শবনম অয়েল মিলের সোয়াবিন উৎপাদন সক্ষমতা আছে ৩০ থেকে ৩৫ লাখ লিটার প্রতি মাসে। এক মাসের প্রথম দশ দিনের হিসাব দিয়ে বছরের হিসাব মেলানো যাবেনা। কারন তাদের তিনটি মিল রয়েছে। এই মিল থেকে সয়াবিন থেকে বেশী সরবরাহ হয় পামওয়েল। তিনি বলেন, ডিসেম্বর মাসে হিসাবটি অস্বাভাবিক। হয়তো ্ওই মাসে সয়াবিনের চাহিদা বেশী ছিলো।

ভোক্তার অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেছেন, দেশের সকল তেল মিল পরিদর্শন শেষে মুল্য বৃদ্ধির কারসাজিতে কারা জড়িত তার ফাইন্ডিংস উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের কাছে তুলে ধরা হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close