আইন ও অধিকারনারায়ণগঞ্জ

শামীম ওসমানদের বিরুদ্ধে বললে হত্যা করে শীতলক্ষ্যায় লাশ ফেলে দেওয়া হয়- ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি

সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক ও ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি বলেছেন, আজমেরী ওসমানের সঙ্গে আমার তো কোনো সম্পর্ক নেই। তাঁকে তো আমি দেখিনিও। তিনি কার নির্দেশে ত্বকীকে হত্যা করেছেন, কাকে কাকে নিয়ে হত্যা করেছেন, সেটি অভিযোগপত্রে থাকা গুরুত্বপূর্ণ। শামীম ওসমানদের অপকর্মের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে, তাদের দমানোর জন্য তারা হত্যা-নির্যাতন করে শীতলক্ষ্যায় লাশ ফেলে দেওয়া হয়।

আমরা বিভিন্নভাবে জেনেছি, ত্বকীকে অপহরণের পর সায়াম প্লাজার একটি কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে মিশনপাড়া মোড়ে লেবার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময়ের মধ্যে সঙ্গে কারা ছিল সেটা গুরুত্বপূর্ণ।

শুক্রবার (১১ মার্চ) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা ও বিচারহীনতার ৯ বছর উপলক্ষে সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চ এ সমাবেশের আয়োজন করে।

রফিউর রাব্বি আরও বলেন, র‌্যাবের অভিযোগপত্রে বলা হয়, তিন দিন ধরে আমাদের বাড়ির সামনে রেকি করেছিল। এই রেকিতে কারা কারা ছিল, সেটি উল্লেখ থাকতে হবে। এটি বাদ দিয়ে অভিযোগপত্র পূর্ণাঙ্গ হবে না। এ সময়ে শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান জড়িত ছিল। পাঁচ ঘণ্টায় তার (অয়ন ওসমান) কী ভূমিকা ছিল, সেটি অভিযোগপত্রে স্পষ্ট করতে হবে। সে কোথায় ছিল, কে কে ছিল, কাদের কী কী ভূমিকা ছিল।

ওই অভিযোগপত্রে বলা হয়, আজমেরী ওসমানের টর্চার সেলে ত্বকীকে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে। ত্বকীকে অপহরণের পর টর্চার সেলে নেওয়ার আগপর্যন্ত বিকেল ৪টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ত্বকী কোথায় ছিল? ত্বকীর সঙ্গে কী করা হয়েছিল? সে সময় কারা কারা উপস্থিত ছিল? কার কী ভূমিকা সেটি অভিযোগপত্রে থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির,নারায়ণগঞ্জ জেলা বাসদের সমন্বয়ক নিখিল দাস, নারায়ণগঞ্জ জেলা  সিপিবির সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জেলা ন্যাপের সম্পাদক আওলাদ হোসেন,নারায়ণগঞ্জ জেলা খেলাঘর আসরের সভাপতি রথীন চক্রবর্তী, নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সভাপতি এ বি সিদ্দিক, সমমনা সভাপতি দুলাল সাহা, ত্বকী মঞ্চের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান, সদস্য সচিব হালিম আজাদ, গণসংহতি আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলার নির্বাহী সমন্বয়ক অঞ্জন দাস প্রমুখ।

সমাবেশে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল নগরের চাষাঢ়া থেকে শুরু হয়ে বঙ্গবন্ধু সড়ক দিয়ে নগরের আলী আহাম্মদ চুনকা নগর পাঠাগার মিলনায়তনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close