আগামীকাল ২ মার্চ, ২০২২ সকাল ১১ টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসহ গ্যাস, পানি, বিদ্যুতের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত করবে গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা। জেলা সমন্বয়ক তরিকুল সুজনের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব অঞ্জন দাসের সঞ্চালনায় উক্ত কর্মসূচি পালিত হবে।
দেশব্যাপী কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়েছে। এর আগে গ্যাস উৎপাদনকারী সংস্থাগুলোর চুলাপ্রতি মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে জনমনে ব্যাপক অসন্তোষ লক্ষ্য করা গেছে। এরই মধ্যে ভোজ্যতেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিক মাত্রায় বেড়ে চলেছে। সিন্ডিকেট বন্ধ করে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার উপর বাজারদর ঠিক করা এবং যথাযথভাবে তা মনিটরিং নিশ্চিত করার দাবিতে শুরু থেকেই দলটির নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন। কার্যক্রম সম্পর্কে নারীনেত্রী পপি রাণী সরকার বলেন, সরকার তাদের চুরি-দুর্নীতি-লুটপাটের দায় জনগণের কাঁধের উপর চাপাতে চাচ্ছে। এই দূর্যোগকালে যখন মানুষের আয় কমেছে, চাকরি হারিয়েছে। তখন সরকার মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি করছে। গ্যাস-পানির মূল্যবৃদ্ধি করার পাঁয়তারা কষছে। এ যেনো মরার উপর খাড়ার ঘা। আমরা যখন এই কর্মসূচির প্রচারপত্র নিয়ে মানুষের মাঝে গিয়েছি, কথা বলেছি তখন একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে। দেশের একটি মানুষও সরকারের এহেন কর্মকান্ডে সন্তুষ্ট নয়। ক্ষোদ সরকারি দলের অনেক সমর্থকদের মুখেই আমরা ক্ষোভ ঝরতে দেখেছি। ব্যাপারটি আসলে এরকমই। কিছু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী, স্বার্থান্বেষী মহল এবং সরাসরি সুবিধাভোগীরা ছাড়া সকলেই এই মূল্যবৃদ্ধিকে প্রত্যাখান করেছে। তাই আমরা সরকারকে অবিলম্বে এই মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার আহ্বান জানাই। নয়তো জনরোষ তৈরি হলে তা মোকাবিলা করা সরকারের পক্ষে অসম্ভব হবে। আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীকে আগামীকালকের কর্মসূচিতে যোগদানের জন্য আহ্বান করছি এবং সংবাদমাধ্যম কর্মীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছি। গণসংহতি আন্দোলনের দাবি:
১। পানি, গ্যাস, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করা চলবে না
২। ভোজ্যতেল-চাল-ডাল-সিলিন্ডার গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের বর্ধিত দাম প্রত্যাহার করো
৩। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার সিন্ডিকেট ভেঙ্গে বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করো
৪।ওএমএস বা টিসিবি পণ্য নয়। অবিলম্বে দেশব্যাপী রেশনিং ব্যবস্থা চালু করো
