আন্তর্জাতিকরাজনীতি
মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকীতে প্রধান শহরগুলোতে ‘নীরব ধর্মঘট’
মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী অং সান সু চি’র বেসামরিক সরকারকে উৎখাতের এক বছর পূর্তিতে মঙ্গলবার “নীরব ধর্মঘট” পালনের আহ্বানে দেশবাসী সাড়া দেওয়ায় দেশ জুড়ে প্রধান শহরগুলোর রাস্তা ফাঁকা পড়ে থাকে।
অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে সক্রিয় কর্মীরা দেশবাসীকে ব্যবসা, কাজকর্ম বন্ধ করে নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থানের আহ্বান জানায়। এর ফলে ব্যবসা জব্দ করা হবে এবং ধর্মঘট সম্পর্কে যে কোনো তথ্য শেয়ার করলে তাকে গ্রেফতার করা হবে বলে সামরিক জান্তা হুমকি দেয়।
রাষ্ট্র পরিচালিত দৈনিক পত্রিকা মিয়ানমা আলিন-এর বরাত দিয়ে দ্যা এসোসিয়েট প্রেস জানায়, মঙ্গলবার দোকান এবং ব্যবসা বন্ধ থাকবে বলে ফেসবুকে পোস্ট করার পরে গত সপ্তাহ থেকে মিয়ানমার জুড়ে কমপক্ষে ৫৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সামরিক জান্তা গত সাধারণ নির্বাচনে ব্যাপক জালিয়াতির দাবি করে বেসামরিক সরকার প্রধান সু চি এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে আটক করে ২০২১-এর ১ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতা দখল করে।২০২০ এর নভেম্বরের সেই নির্বাচনে সেনা সমর্থিত ইউনিয়ন সলিডারিটি এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির বিপক্ষে বিশাল ব্যবধানে জয় লাভ করে সু চির ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি।
দ্যা এসিস্ট্যান্স এসোসিয়েশন অফ পলিটিক্যাল প্রিজনার্স নামের একটি স্বাধীন সক্রিয় কর্মী গোষ্ঠী জানায়, ১ ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর থেকে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে সহিংস বিক্ষোভে অন্তত ১৫০০ জন নিহত হয়েছে৷
জনতার বিশৃঙ্খলা উস্কে দেওয়া, কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ ভঙ্গ করা এবং অবৈধভাবে ওয়্যারলেস রেডিও আমদানি ও ব্যবহার করাসহ জান্তা কর্তৃক আনীত অনেকগুলো অভিযোগে অং সান সু চির বিচার করা হয়েছে এবং দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ২০২০ সালের নির্বাচনে দেশের নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করার নতুন অভিযোগে ১৪ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে বিচারকাজ শুরু হবে। সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা