নারায়ণগঞ্জফতুল্লা
ফতুল্লায় গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষের মামলায় ১৮ শ্রমিকের জামিন

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ফকির নিট ওয়্যারস নামে একটি রপ্তানীমুখী পোষাক কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ১৮জন শ্রমিক আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিন নিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারী) সকালে নারায়ণগঞ্জ জুডিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ইমরান মোল্লার আদালতে শ্রমিকরা আত্মসমর্পন করেন। এ মামলায় আরো ৮০জন শ্রমিকের বিরুদ্ধে আদালত থেকে গ্রেফতারী পরোয়ানা (ওয়ারেন্ট) রয়েছে
জামিনপ্রাপ্ত শ্রমিকরা হলো-রকিবর, সুজন, এবাদুল, আনিছুর, মোস্তফা, নূরনবী, আশিকুর, হাফিজুল ইসলাম, আঃ রাজ্জাক, রিপন, লিয়াকত, দেলোয়ার, আজিজুল, আঃ বারী, শফিউল, সুজন মিয়া, আঃ বারেক ও ইউসুফ।
জামিনের বিষয় নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, ৯৮ জন শ্রমিকের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশীট) দাখিল করেছে শিল্প পুলিশ। ২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আদালত চার্জশীট গ্রহন করে আসামীদের উপস্থিতি না পেয়ে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেছে। তাদের মধ্যে অ্যাডভোকেট মুকুল ঘোষের মাধ্যমে ১৮জন আত্মসমর্পন করে জামিন নিয়েছে।
গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি এমএ শাহীন ও সাধারনসম্পাদক ইকবাল হোসেন বলেন, ২০২০ সালের ১৯ মে ফতুল্লার কায়েমপুর এলাকায় অবস্থিত ফকির গার্মেন্টের মালিক পক্ষ ১২০জন শ্রমিক ছাটাই করেছে। তখন শ্রমিকরা দুই মাস ন্যায় সঙ্গত আন্দোলন করেছে। এতে মালিকপক্ষ দেড় থেকে দুইশত শ্রমিকের বিরুদ্ধে গার্মেন্ট ভাংচুরের মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে আলোচনায় বসে ছাটাইকৃত শ্রমিকদের আইনগত পাওনাদী পরিশোধ করে দেয় এবং মামলা তুলে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় মালিকপক্ষ। এরপর আর মামলা তুলে নেয়নি মালিকপক্ষ। সেই মামলার ওয়ারেন্টে এখন শ্রমিকরা হয়রানীর শিকার হচ্ছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।
২০২০ সালের ১৯ মে ফতুল্লা মডেল থানায় ফকির নিটওয়্যারসের জিএম (এডমিন) অবঃ লেঃ কর্নেল নাঈমের মামলায় উল্লেখ করা হয়, উচ্ছৃখংল শ্রমিক অনৈতিক দাবী ইস্যু করে প্রায় দুই ঘন্টা গার্মেন্টে ভাংচুর চালায়। তাদের হামলায় কয়েকজন আহত হয়। এতে মালিকপক্ষের ৩ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।