জাতীয়রাজনীতি

প্রাণিসম্পদ খাতে উৎপাদিত পণ্যের বহুমুখী ব্যবহারে গুরুত্ব দিতে হবে- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

প্রাণিসম্পদ খাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রাণিজাত পণ্যের বহুমুখীকরণে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের এগ্রো বিজনেস প্ল্যানিং, টেকনোলজিস অ্যান্ড মার্কেটিং অ্যাডভাইস অ্যান্ড ইমপ্লিমেনটেশন সাপোর্ট বিষয়ক ইনসেপশন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই গুরুত্বের কথা জানান।

জার্মানী ভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এএফসি এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফিন্যান্স কনসালটেন্টস এবং তাদের বাংলাদেশ প্রতিনিধি সার্ভিসেস অ্যান্ড সলিউশনস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পে পরামর্শক হিসেবে নিযুক্ত রয়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও উল্লেখিত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে এ কর্মশালা আয়োজন করে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহজাদার সভাপতিত্বে  মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক আব্দুর রহিম। কর্মশালায় প্রকল্প কার্যক্রম উপস্থাপন করেন প্রকল্পের চীফ টেকনিক্যাল কোঅর্ডিনেটর ড. মো. গোলাম রব্বানী। ইনসেপশন রিপোর্ট উপস্থাপন করেন কনসালটেন্ট প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিক কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. মানব চক্রবর্তী। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও এস এম ফেরদৌস আলম, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং প্রাণিসম্পদ খাতের বিজ্ঞানী-গবেষক, উদ্যোক্তা ও খামারিগণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, প্রাণিসম্পদ খাতে শুধু উৎপাদন বৃদ্ধিই নয়- বরং উৎপাদিত পণ্যের বহুমুখী ব্যবহারে গুরুত্ব দিতে হবে। বহুমুখীকরণ করতে না পারলে, এ খাতকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। দুধ ও মাংস থেকে বহুমুখী ব্যবহার উপযোগী উপকরণ তৈরির সুযোগ রয়েছে। এ খাতে সম্পৃক্তদেরকে এর বহুমুখী ব্যবহার বাড়াতে এবং মাংস জাতীয় পণ্য তৈরির দিকে দৃষ্টি প্রসারিত করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে যে- প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে ও বিস্তারে শুধু কাজ করলেই হবে না, পাশাপাশি এর গুণগত মান নিশ্চিত করতে হবে। মাছের ও পশুর খাদ্য আমদানির ক্ষেত্রে কর অব্যাহতিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে ছাড় দিচ্ছে সরকার।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close