নারায়ণগঞ্জরাজনীতি
কমিউনিস্টদের স্তব্ধ করতে বোমা হামলা চালানো হয়েছিল : সিপিবি

২০০১ সালের ২০ জানুয়ারি পল্টন ময়দানে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র মহাসমাবেশে বোমা হামলা ও হত্যাকাণ্ডের ২২তম বার্ষিকীতে শহীদদের স্মরণে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) বিকাল চারটায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি কমরেড হাফিজুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন সিপিবি নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড শিবনাথ চক্রবর্তী, বিমল কান্তি দাস, আঃ হাই শরীফ, শাহানারা বেগম, আঃ সালাম বাবুল, ইকবাল হোসেন, শিশির চক্রবর্তী, মৈত্রী ঘোষ, বিজয় কর্মকার।
এ সময় নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০ জানুয়ারির পল্টন ময়দানের বোমা হামলার পর আলামত সংগ্রহ না করে সিপিবির নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ বাহিনী লাঠিচার্জ করে, টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও এমনকি পুলিশ কমিশনার বলেছিলেন, এই হামলা দলের আভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে হয়েছে! আওয়ামীলীগের সমাবেশে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার পরও বিএনপি সরকার একই কাজ করেছিল এবং এধরনের বক্তব্য দিয়েছিল।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সেদিন কমিউনিস্টদের স্তব্ধ করার জন্য বোমা হামলা চালানো হয়েছিল যাতে কমিউনিস্ট পার্টি মানুষকে নিয়ে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে। আজও তাই করা হচ্ছে। কিন্তু জনগণের আরো বেশী অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে সিপিবি এগিয়ে যাচ্ছে।
অশুভ শক্তির হীন উদ্দেশ্য সফল হবে না। এখনও নানা ষড়যন্ত্র চলছে। দেশ এক গভীর সংকটের মধ্যে অতিবাহিত করছে। গণতন্ত্রহীনতা, লুটপাটতন্ত্র, সাম্প্রদায়িকতা আজ চরম আকার ধারণ করেছে। এই অবস্থা থেকে দেশকে উদ্ধার করতে হলে কমিউনিস্ট ও বামপন্থীদেরই এগিয়ে আসতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন ২০০১ সালের এই দিনে রাজধানীর পল্টন ময়দানে সিপিবি’র লাখো মানুষের মহাসমাবেশে বোমা হামলা চালায় প্রতিক্রিয়াশীল ঘাতক চক্র। এই হামলায় খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার সিপিবি নেতা হিমাংশু মণ্ডল, খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার সিপিবি নেতা ও দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরির শ্রমিক নেতা আব্দুল মজিদ, ঢাকার ডেমরা থানার লতিফ বাওয়ানি জুট মিলের শ্রমিক নেতা আবুল হাসেম ও মাদারীপুরের মোক্তার হোসেন ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন।
এবং খুলনা বিএল কলেজ ছাত্র ইউনিয়নের নেতা কমরেড বিপ্রদাস আহত হয়ে ঢাকা বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ওই বছরেই ২ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন। বোমা হামলায় শতাধিক কমরেড আহত হন। পরদিন ২১ জানুয়ারি সিপিবির আহ্বানে ঢাকা শহরে হরতাল পালন করা হয়।