নারায়ণগঞ্জনির্বাচনী হালচালরাজনীতি

কেন্দ্র দখল করবে আর চেয়ে চেয়ে দেখবো তা হবে না : এড. তৈমুর আলম খন্দকার

আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী এড. তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন, আমি রাজনীতিতে যোগদান করার আগে এই খেটে খাওয়া শ্রমিকদের সাথে থাকতাম। তারা খেটে খাওয়া মানুষ। একটি বিষয়ে অনেকে বার বার কথা বলছেন, নিরাপত্তা নিয়ে পত্র পত্রিকা দেখে আমারও লজ্জা লাগে। এক এমপি প্রার্থী বলতাছে তার কেন্দ্র দখল করে নিয়েছে। আপনার যদি “হেডম না থাকে, সে জন শক্তি না থাকে তাহলে কেনো নমিনেশন নেন’।  নমিনেশন কোনো তেল, লবন, চাল , ডালের মত না যে টাকা পেলাম কিনে নিলাম। এটা একটা আমানতের বিষয়, এটাকে জীবন দিয়ে হলেও রক্ষা করতে হবে।

বুধবার(২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মাসদাইরে নিজ বাসভবানে বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে মত বিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আপনারা দেখেছেন কখনো কর্মী ফেলে দৌড় দেই না আর কর্মীরা আমাকে ছেড়েও দৌড় দেয় না। কর্মীরা বুঝে তৈমুর আলম দৌড় দিবে না।  পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে তাদের (নেতা কর্মী) থাবা দিয়ে ধরে আটকিয়ে রেখেছি। মনে রাখবেন আপনার বাসায় হামলা হয় আপনাকে থানায় ধরে নিয়ে যায় আমি আপনার পাশে থাকবো। জীবন দিয়ে হলেও এই মেনডেট আমি রক্ষা করবো। কেন্দ্র দখল করবো আর চেয়ে চেয়ে দেখবো আর সাংবাদিকদের ষ্টেটমেন্ট দিবো কেন্দ্র দখল করে নিয়ে গেছে, তা হবে না।

তৈমূর আলম বলেন, দল থেকেও একটি কথা বলেছেন আমাদের এই নির্বাচন একটি কৌশল। আমরা কৌশলগত ভাবে আগাবো, দলের নেতা কর্মীরা জানে।

এসময় নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি জসিম মিয়া বলেন, আগামী দিনের তৈমুর আলম খন্দকার মেয়র হিসাবে জয় লাভ করতে পারলে  আমাদের শ্রমিকদের জন্য অনেক ভালো হবে। আগামীতে আমাদের যত আন্দোলন আছে তা করতে গিয়ে অনেকটা হামলা মামলা শিকার হবো।

তিনি (তৈমুর আলম খন্দকার) মেয়র হলে থানায় ফোন দিয়ে তার কর্মীদের হেফাজত করতে পারবেন। আমরা অনেকটা হেফাজতে থাকতে পারবো। তাই আমাদের এই নির্বাচনে তৈমুর ভাইকে ভোট দিয়ে জয় লাভ করাতে হবে। এই বিজয় শুধু তৈমুর ভাইয়ের না, এই বিজয় বেগম খালেদা জিয়ার। এই বিজয় স্বাধীনতার।

এসময় নেতা কমীদের মধ্যে আরো অনেকে বিগত নির্বাচনে বিভিন্ন ভুল তুলে ধরে প্রস্তাব রাখেন, গত নির্বাচনে কাজ করতে গিয়ে পানি খাবার সময় পাই নাই। এবার প্রয়োজনে সবাই রোজা রেখে কেন্দ্রে কাজ করে বিজয় নিয়ে আসবো। তারা দাবি জানান, নির্বাচনের আগে এলাকায় থাকতে পারবো কি না। পুলিশ হয়রানি যাতে না করে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে। যারা জেল খাটছে যারা দলের খারাপ সময় পাশে ছিলো তাদের প্রাধান্য দিতে হবে।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন,নারায়ণগঞ্জ মহানগর শ্রমিক দলের সভাপতি এস এম আসলাম  সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপু, শ্রমিক নেতা ফারুক হোসেন,সদর থানার শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন, যুগ্মআহবায়ক মো লিটন,   মহানগর শ্রমিক দলের যুগ্ম আহবায়ক মনির মল্লিক,নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি জসিম মিয়া, নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক দলে যুগ্ম আহবায় মনিরুল ইসলাম রবি,নারায়ণগঞ্জ জাতীয়বাদি শ্রমিক দলের সভাপতি মো মন্টু মেম্বার  নারায়ণগঞ্জ জেরা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মুজিবর রহমান, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়বাদি শ্রমিক দলের সহ সভাপতি মিয়াজ উদ্দিন মাতবর, মান্নান মুন্সি, প্রচার সম্পাদক আলামিন হাওলাদার ফতুল্লা থানার শ্রমিক দলে যুগ্মসম্পাদক তাইজুল ইসলাম, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুগ্ম আহবায়ক আজাহারুল হক, সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিয়ন সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন প্রমুখ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close