জাতীয়
অপপ্রচার ও প্রতারনামূলক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সিরাক-বাংলাদেশ এর প্রতিবাদ ও সংবাদ সম্মেলন

সিরাক-বাংলাদেশ এর নামে অপপ্রচার এবং প্রতারণামূলক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা প্রদানের উদ্দেশ্যে শনিবার সকাল ১১টায় ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন নির্বাহী পরিচালক এস এম সৈকত, সহকারী পরিচালক (অর্র্থ ও প্রশাসন) মোঃ সোহরাব হোসাইন, প্রোগ্রাম ম্যানেজার তাসনিয়া আহমেদ, সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মাহাবুব সরকার, এবং সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী এ্যাডভোকেট মোঃ এরশাদুল বারী খন্দকার ।
সিরাক-বাংলাদেশ এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার তাসনিয়া আহমেদ লিখিত বক্তব্যে জানান- “সম্প্রতি ঝিনাইদহ জেলায় কিছু সংখ্যক বেনামী প্রতিষ্ঠান ও স্বার্থান্বেষী মহল প্রতারনার উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে, বিনা অনুমতিতে, আমাদের অগোচরে আমাদের প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট অথবা অন্যান্য ইন্টারনেটভিত্তিক মাধ্যম হতে নাম, তথ্য, এবং বিকৃত লোগো এবং অপরিচিত মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করে বিভিন্ন লোকজনকে ঋণ/অনুদান ইত্যাদি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে জামানতস্বরূপ তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
কেউ কেউ বিভিন্ন ভুক্তভোগীদের পরিচয়ে আমাদের প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট থেকে ল্যান্ডলাইন/টিএন্ডটি নম্বর নিয়ে বিগত ০৩.১০.২০২১ তারিখে অফিসে যোগাযোগ করলে আমরা উক্ত প্রতারণামূলক অপতৎপরতার বিষয়ে প্রথমে অবগত হই। উল্লেখ্য সিরাক-বাংলাদেশ ইতোপূর্বে কোনদিনই ঝিনাইদহ জেলায় কোন ধরনের অফিস বা কার্যক্রম করে নাই। প্রতারক চক্র তাদের ভুয়া সাইনবোর্ডে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটির সনদ (এমআরএ) ভুয়া নাম্বার ব্যবহার করেছে যা কোনকালেই সিরাক-বাংলাদেশ এর ছিল না বা নেই। এমনকি অত্র প্রতিষ্ঠানের সারাদেশে কোথাও কোন ধরনের আর্থিক কর্মকান্ড (ঋণ, আমানত, অনুদান ইত্যাদি) নেই।
সংস্থাটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এনজিও বিষয়ক ব্যুরো এবং জাতিসংঘের ইকোনোমিক ও সোস্যাল কাউন্সিলের বিশেষ পরামর্শক হিসেবে দেশে ও আর্ন্তজাতিক পরিমন্ডলে সরকারের যথাযথ অনুমোদন সাপেক্ষে যুব উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, নীতি এ্যাডভোকেসীসহ সচেতনতামূলক কার্যক্রম সুনামের সাথে বাস্তবায়ন করে আসছে। সংস্থাটির সকল কার্যক্রম বিস্তারিতভাবে এর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা আছে। যার মাধ্যমে উল্লেখিত কোন ধরনের প্রকল্পের বিষয়টি মিথ্যে ও ভুয়া প্রমানিত হয়। এর প্রেক্ষিতে আমরা নিজ উদ্যোগে ভূক্তভোগীদের সাথে বিভিন্ন সময়ে ফোনে কথা বলে, ও তথ্য সংগ্রহ করে প্রতারনার ঘটনাটি প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়ে ডিএমপির পল্লবী থানায় একটি জেনারেল ডায়েরি (জিডি) দায়ের করি।
গণমাধ্যমের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি যে গতকাল স্থানীয়ভাবেও অজ্ঞাত আসামীদের নামে একটি মামলা করেছেন ভূক্তভোগী ব্যাক্তিরা। যা আমরা সাধুবাদ জানাই এবং আমরা আশাবাদী সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে এই ঘৃণিত প্রতারনায় জড়িত ব্যক্তিদেরকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনা সম্ভব হবে যেন এ ধরনের অপরাধ আর না ঘটে। আমরা জানি সংবাদমাধ্যমের নীতিগত বিষয়ের মধ্যে রয়েছে যার বিরুদ্ধে/বিপক্ষে/বিষয়ে সংবাদ করা হচ্ছে তার বক্তব্য সংবাদে সংযুক্ত করা। লক্ষ্য করা গেছে বেশ কিছু স্থানীয় ও জাতীয় পত্র-পত্রিকায় আমাদের সাথে কোনরূপ যোগাযোগ না করেই বিভ্রান্তিমূলকভাবে সরাসরি আমাদের প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করা হয়। যা সর্বৈব মিথ্যে ও বিভ্রান্তিমূলক এবং আমরা মনে করি এতে করে প্রকৃত সত্য প্রকাশ হয়নি বরং এই ঘটনায় ভূক্তভোগীদের সাথে সাথে আমাদেরও সুনাম ক্ষতিগ্রস্ত ও প্রতিষ্ঠানের মর্যাদাহানি হয়েছে, ও অত্র প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত হাজারো তরুণদের ক্ষুব্ধ ও ব্যথিত করেছে। আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশের স্বনামধন্য গণমাধ্যমসমূহ এ বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি দিয়ে এবং সতর্কভাবে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে জনসাধারণকে অবহিত করবেন যেন তাতে অহেতুক কোন নির্দোষ প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত না হন এবং প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করতে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীরও সহযোগিতা হয়।”
প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক এস এম সৈকত জানান, বিষয়টি নিয়ে সিরাক-বাংলাদেশ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। এছাড়াও জড়িত অজ্ঞাত ব্যক্তিবর্গ বা তাদের ভুয়া কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রতিষ্ঠানটির হেড অফিস কিংবা কোনও শাখা অফিসের কোনও ধরণের সংশ্লিষ্টতা নেই।
সিরাক-বাংলাদেশ মনে করে, প্রতারকচক্র এ ধরনের হীন কর্মকান্ডের মাধ্যমে অত্র প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন করার পাশাপাশি সাধারন মানুষের ক্ষতি সাধন করেছে। তিনি আরো বলেন, “এ ধরনের অপতৎপরতা ঠেকাতে স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সজাগ দৃষ্টি প্রয়োজন। আমরা এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের প্রতি সমমর্মিতা ও জড়িতদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে বিচার করার জোর দাবি জানাচ্ছি।”
সিরাক-বাংলাদেশ কর্মকর্তাগণ আরো জানান উল্লেখিত বিষয়ে যেকোন ধরনের সংবাদ প্রকাশে ও তদন্তের ক্ষেত্রে সংস্থাটির সাথে যোগাযোগ করা হলে পূর্ণ সহযোগিতা প্রদান করা হবে।