জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দল গোছাচ্ছে আওয়ামী লীগ।বাংলাদেশের প্রাচীনতম দল আওয়ামী লীগ। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের আগে তৃণমূল অর্থাৎ জেলা, উপজেলা ও থানা পর্যায়ের সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটিগুলোকে হালনাগাদ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বিরোধীদের অপপ্রচারের জবাব দিতে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। এরই মধ্যে জেলা, উপজেলা ও থানার সম্মেলন শেষ পর্যায়ে।
ঢাকা মহানগর উত্তরের সম্মেলন শেষ, দক্ষিণে কয়েকটি বাকি। নভেম্বরের মধ্যে সারা দেশের সম্মেলন শেষ করার আশা দলটির। আর ডিসেম্বরেই জাতীয় সম্মেলন করতে চান নেতারা।
তৃণমূল গোছাতে এরই মধ্যে দলের ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে সম্মেলন শেষ হয়েছে ৫০টিরও বেশি। উপজেলা, থানা ও পৌরসভায় ৬৫০টির মধ্যে শেষ হয়েছে চার শতাধিক।
নেতারা বলছেন, দল ও সহযোগী সংগঠনকে তৃণমূল পর্যন্ত সংগঠিত করার পাশাপাশি নির্বাচনকেন্দ্রিক কাজ এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে অপপ্রচারের জবাব দিতে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম সময় সংবাদকে বলেন, বিএনপি-জামায়াতের বিগত দিনের শাসনামলে তারা যখন দেশে দুঃশাসন করেছে, তারা যখন লুণ্ঠন করেছে, দুর্নীতি করেছে, সেসব বিষয় তুলে ধরা হবে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত সাম্প্রদায়িক শক্তি ও জঙ্গিবাদী শক্তিকে প্রশ্রয় দিয়েছে, হত্যা ও বোমাবাজির রাজনীতি করেছে এবং গ্রেনেড হামলা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার যে অপচেষ্টা তারা চালিয়েছিল; এ বিষয়গুলো আমরা দেশের মানুষের কাছে তুলে ধরব।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সম্মেলন শেষ হলেও দক্ষিণে বাকি কয়েকটি। দলের নেতাদের দাবি নভেম্বরের মধ্যেই শেষ হবে সারা দেশের সম্মেলন। ডিসেম্বরে হবে কেন্দ্রীয় সম্মেলন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম (এমপি) বলেন, আওয়ামী লীগের জেলা, উপজেলা ও থানা পর্যায়ে সম্মেলনে শেষ হয়েছে। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনও শেষ পর্যায়ে আছে। আমাদের টার্গেট সব জেলা, উপজেলা ও থানা সম্মেলন শেষ করা। এ টার্গেট নিয়ে আমরা কাজ করছি।
সিনিয়র নেতারা বলছেন, আগামী ২৮ অক্টোবর দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভায় আসতে পারে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা ও সিদ্ধান্ত।