আইন ও অধিকারঢাকা বিভাগধর্মনারায়ণগঞ্জফতুল্লামতামত

বক্তাবলীতে ইয়াকুব মোল্লা দারুল উমূল মাদ্রাসার নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ!

নিজস্ব সংবাদদাতা, নারায়ণগঞ্জ:
নারায়ণগঞ্জে ফতুল্লায় বক্তাবলীতে ওয়াকফাহ্কৃত সম্পত্তিতে “ইয়াকুব মোল্লা দারুল উমূল মাদ্রাসা” নামক একটি ধমীয় প্রতিষ্ঠানের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (২২ মার্চ) রাতে ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) দুপুরে পশ্চিম ভোলাইল গেদ্দার বাজার এলাকার নুরুজ্জামান মোল্লার ছেলে আনোয়ার মোল্লা বাদী হয়ে তিন জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে ফতুল্লা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযুক্তরা হলো, বক্তাবলী রাজাপুর এলাকার মানিক চাঁন মিয়া’র পুত্র আব্দুল আলী, একই এলাকার শহিদুল্লাহ’র পুত্র সোহেল, বাদশা মিয়া’র পুত্র মুক্তার।

ভূক্তভোগী আনোয়ার মোল্লা জানান, চর বক্তাবলী মৌজাস্থিত ইয়াকুব মোল্লা’র ৪৯ শতাংশ সম্পত্তি রয়েছে। যার সি এস দাগ নং-৩০২২, এস এ দাগ নং-৩১৫৮ ও আর এস দাগ নং-৭৮১৪। এই সম্পত্তি তিনি ধর্মীয় কাজের জন্য ওয়াকফাহ্ দিয়ে গেছেন। এবং ওয়াকফাহ্কৃত জায়গাটি ইয়াকুব মোল্লা’র ওয়ারিশ হিসেবে আমরা নিজেরাই পরিচালনা করে আসছি। পরবর্তীতে ইয়াকুব মোল্লা উমূল মাদ্রাসা নামক একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান করার জন্য আমরা উদ্যোগ নিয়ে থাকি। সেই জায়গায় একটি মাদ্রাসা নাম করণ করে একটি সাইনবোর্ড টানিয়ে দেই। এরপর থেকেই উক্ত বিবাদীরা ওয়াকফাহ্কৃত সম্পত্তির জায়গাটি বেদখল করার জন্য বিভিন্ন ধরনের অপচেষ্টা ও পাঁয়তারা করে আসছে। এমনকি উক্ত সম্পত্তির মধ্যে আমাদের মাদ্রাসার নির্মাণ কাজে বাঁধা প্রদান করে।

আনোয়ার মোল্লা আরও জানান, ওয়াকফাহ্কৃত সম্পত্তি রক্ষার্থে আমি বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ দ্বিতীয় আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করি। যাহার মামলা নং-১৯৫/২০২১। বর্তমানে মামলাটি চলমান রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২২ মার্চ গভীর রাতে উল্লেখকৃত বিবাদীরা সহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন লোক দলবদ্ধ হয়ে আমাদের ফতুল্লা থানাধীন বক্তাবলী বর্ণিত সম্পত্তিতে এসে নির্মিত সাইনবোর্ড চাকু দিয়ে এলোপাতাড়ী পোচ মেরে নষ্ট করে দেয়। এবং সম্পত্তির সীমানার সিমেন্টের পিলার ভাংচুর করে। বিভিন্ন লোক মারফতে আমাকে হুমকি-ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। উক্ত সম্পত্তিতে আমরা মাদ্রাসার নির্মানের কোন ধরনের কাজ করার চেষ্ঠা করলে বড় ধরনের ক্ষতি করবে বলে জানান। আমি উপায় না পেয়ে ফতুল্লা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close