অপরাধনারায়ণগঞ্জ

না’গঞ্জের রূপগঞ্জে কারখানা নির্মাণ কাজে বাঁধা, চাঁদা দাবী অভিযোগ উঠেছে

নিজস্ব সংবাদদাতা: নারায়ণগঞ্জ জেলায় রূপগঞ্জের পশ্চিমগাও গ্রীন কংক্রিট ইন্ডাস্ট্রিজ এলাকায় খন্দকার আবুল বাশার নামে এক ব্যক্তির কারখানা নির্মাণ কাজে বাঁধা প্রদান ও চাঁদা দাবীর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় সন্ত্রাসী আলী আজগর গং এর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রূপগঞ্জের পশ্চিমগাও এলাকার মৃত আবেদ আলী’র পুত্র মোঃ আলী আজগর (৩২), আবু তালেব’র পুত্র মোঃ রফিকুল ইসলাম রুবেল (৩৯), মৃত হাফিজ উদ্দিন’র পুত্র মোঃ মোফাজ্জল হোসেন মামুন (৪০), মৃত আব্দুল নূর’র পুত্র খোরশেদ আলম নূর (৪৫), মৃত সুবেদ আলম’র পুত্র হাবিবুর রহমান (৪৯) সহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী খন্দকার মনির হোসেন জানান- আলী আজগর গং বিগত ০৯/০৩/২৪ তারিখে খন্দকার মনির হোসেন’র বড় ভাই খন্দকার আবুল বাশার’র নিকট ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। খন্দকার আবুল বাশার উক্ত চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের দাবীকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকার করে প্রতিবাদ করলে সন্ত্রাসীরা খন্দকার মনির হোসেন’র বড় ভাই খন্দকার আবুল বাশারকে অকথ্য ভাষায় গালা-গাল করে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এবং ও-ই জমিতে কারখানা নির্মাণ করতে পারবে না বলে ঘোষণা দেয়।
এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে আলী আজগর গং সহ অজ্ঞাত আরও ১০/১৫ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এসে খন্দকার মনির হোসেন’র বড় ভাই খন্দকার আবুল বাশার’র পশ্চিমগাও মৌজায় ৬/৭ বিঘা সম্পত্তিতে গ্রীন কংক্রিট ইন্ডাস্ট্রিজ নামে নির্মিত কারখানায় অনধিকারভাবে প্রবেশ করে খন্দকার মনির হোসেনকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল শুরু করে।
খন্দকার মনির হোসেন চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের দাবীকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকার করে প্রতিবাদ করলে আলী আজগর তার কোমরে স্বজোরে লাথি মারে। এসময় রফিকুল ইসলাম রুবেল ও হাবিবুর রহমান মনির হোসেন’র শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিল, ঘুসি ও লাথি মেরে তাকে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করেন। এরপর এক পর্যায়ে আলী আজগর তার হাতে থাকা লোহার হামার দিয়ে নির্মিত ৭ফুট উচ্চতা সম্পূর্ণ ৬০ ফুট পাকা বাউন্ডারী ওয়ালে সজোড়ে আঘাত করে ভাংচুর করে ক্ষতি সাধন করে। পরে লোহার হামার মাটিতে নামিয়ে রেখে সন্ত্রাসী আজগর আলী পূণরায় খন্দকার মনির হোসেন’র গলা চেপে ধরে তাকে শ্বাস রোধ করে হত্যার চেষ্টা করে।
এমতাবস্থায় রফিকুল ইসলাম রুবেল’র হাতে থাকা লোহার শাবল এবং মোফাজ্জল হোসেন মামুন রাম দা এর উল্টো দিক দিয়ে, খোরশেদ আলম নূর’র হাতে থাকা হাতুরী এবং হাবিবুর রহমান’র হাতে থাকা দাড়ালো চাপাতি দিয়ে কারখানার ৭ফুট উচ্চতা সম্পূর্ণ ৬০ ফুট পাকা বাউন্ডারী ওয়ালের ভাংচুর করে আনুমানিক প্রায় ৪/৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করেন।
এছাড়াও আলী আজগর গং সহ অজ্ঞাত আরও ১০/১৫ জন সন্ত্রাসীদের সহোযোগিতায় ওয়ালের ১০/১২ ফুট উচ্চতা সম্পূর্ণ পিলার কেঁটে আরও প্রায় ৩/৪ লক্ষ টাকা ক্ষতি সাধন করেন। এরপর সন্ত্রাসীরা মনির হোসেন ও তার ভাইয়ের নির্মাণাধীন কারখানার ইট, ৭ টন লোহার রড, সিমেন্ট ও অন্যান্য সামগ্রী সহ প্রায় ৮ লক্ষ টাকার মালামাল পিক আপ গাড়িতে উঠিয়ে চুরি করে নিয়ে যান। এ বিষয়ে কোন ধরনের আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করলে তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দেন। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীগণ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে সুবিচারের দাবী জানান।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close