একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার বার্ষিকীতে নিহতদের স্মরণে আলোচনাসভায় বক্তৃাকালে সেদিনের ভয়াবহতার কথা স্মরণ করে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতা করছিলেন সরকার ও আওয়ামী লীগপ্রধান।
আওয়ামী লীগ আয়োজত এ সভায় প্রধানমন্ত্রী বিদেশিদের প্রশ্ন করে বলেন, তাদের দেশে মানবাধিকার কোথায়?
তিনি বলেন, আজকে তারা (বিএনপি) ভোটের অধিকারের কথা বলে। আর কিছু আছে তাদের ভাড়া করা, তারা মানবাধিকারের কথা বলে। যারা বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলে, তাদের কাছে আমার প্রশ্ন— আমরা যারা ১৫ অগাস্ট আপনজন হারিয়েছি, ৩ নভেম্বর আপনজন হারিয়েছি, আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী জীবন দিয়েছে, মৃত্যুবরণ করেছে বিএনপি-জামায়াতের হাতে, তাদের মানবাধিকার কোথায়?
আন্তর্জাতিক অনেক সংস্থা মাঝে মাঝে মানবাধিকারের কথা বলেন। তাদের কাছে আমার প্রশ্ন— কাদের শেখানো বুলি তারা বলে। এ দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন বারবার হয়েছে, যার মূলহোতাই হচ্ছে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া।
একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, তখন ট্রাকের ওপর দাঁড়িয়ে আছেন নেতারা, আর নেতাকর্মীরা সামনে। আমি যখন বক্তব্য শেষ করে নিচে নামব, তখন গোর্কি বলল— ছবি নিতে পারিনি, আপা একটু দাঁড়ান, অন্য ফটোগ্রাফাররা বলল, আপা একটু দাঁড়ান। এই কয়েক সেকেন্ডের ব্যাপার, সাথে সাথে শুরু হয়ে গেল গ্রেনেড হামলা। হানিফ ভাইসহ নেতারা আমার চারদিক দিয়ে ঘিরে ফেলল। তিনটা গ্রেনেড, আবার কিছুক্ষণ বিরতির পর একটার পর একটা মারতে শুরু করল।
সেদিনের হামলায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন ১৬ জন। আইভি রহমান ৫৮ ঘণ্টা মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে ২৪ আগস্ট মারা যান। প্রায় দেড় বছর পর মৃত্যু হয় ঢাকার প্রথম নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ হানিফ। সব মিলিয়ে নিহতের সংখ্যা হয় ২৪।