জাতীয়ঢাকারাজনীতি

জনগণের বিজয় না আসা পর্যন্ত লড়াই চলবেঃ গণসংহতি’র প্রধান জোনায়েদ সাকি

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে জনগণের বিজয় না আসা পর্যন্ত লড়াই করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।

শুক্রবার বিকালে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে দলের এক সমাবেশে তিনি এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

দলের আন্দোলন সংগ্রামের দুই দশক এবং রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশের ৭ বছর উপলক্ষে ‘সরকারের পদত্যাগ ও ফ্যাসিবাদের পতনে আন্দোলন জোরদার’ এবং ‘ভোটাধিকার ও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর ঘটাতে জনগণের বৃহত্তর ঐক্য গড়তে এ সমাবেশ হয়।

সাকির অভিযোগ, দেশে এক বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই সংকট উত্তরণে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত ছাড়া দেশ আরও বিপর্যয়কর দিকে যাবে।

“দেশকে রক্ষা করতে হলে জনগণের রাজনৈতিক শক্তিকে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য নির্বাচিত করতে হবে। আমরা গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, শাসনতন্ত্র বদলের জন্য লড়াই শুরু করেছি। যতক্ষণ পর্যন্ত জনগণের বিজয় না আসবে ততক্ষণ আমাদের লড়াই চলবে।”

লুটপাটের কারণে দেশের ব্যাংক ব্যবস্থা অনেকটাই দেউলিয়া হয়ে গেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

তার ভাষ্য, “সরকার জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে। মানুষের অধিকারগুলোকে খর্ব করেছে। আজকে দেশের সার্বভৌমত্বকে চরম হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে তারা।

‘‘লুটপাট করে দেশের ব্যাংক ব্যবস্থাকে প্রায় দেউলিয়া করেছে। টাকা পাচার করে দেশের অর্থনৈতিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। সংবিধানের ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে। অথচ এই সংবিধান জনগণের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি বরং তারা (ক্ষমতাসীনরা) স্বৈরতন্ত্রের জন্ম দিয়েছে।“

এজন্য এ বিদ্যমান ‘সংবিধান সংস্কার’ করে একটা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানান সাকি।

সাকির সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আবুল হাসান রুবেল, দেওয়ান আবদুল রশিদ নীলু, হাসান মারুফ রুমী, তাসলিমা আখতার, মনির উদ্দিন পাপ্পু, বাচ্চু মিয়া, দীপক রায়, ইমরাদ জুলকারনাইন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close