নারায়ণগঞ্জরাজনীতি
নারায়ণগঞ্জে বাম জোটের হরতালে পুলিশের ব্যাপক লাঠিচার্জ, আহত ২০

নারায়ণগঞ্জে বাম গণতান্ত্রিক জোটের হরতাল কর্মসূচিতে ব্যাপক লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। দফায় দফায় বাধা প্রদানের পর নেতা-কর্মীদের ওপর এই লাঠিচার্জ করা হয়। এ সময় অন্তত ২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন জোটের নেতারা।

আজ সোমবার সকাল ৭টার নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়া চত্বরে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় নেতা-কর্মীরা কিছু সময়ের জন্য ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলেও পরে আবার সংগঠিত হয়ে মিছিল চালিয়ে যায়।
এর আগে, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমানোর দাবিতে সারা দেশে ডাকা আধা-বেলা হরতাল পালনে সকাল পৌনে ৬টা থেকে সড়কে অবস্থান নেন বাম জোটের নেতা-কর্মীরা। মিছিল নিয়ে চাষাঢ়া থেকে দুই নম্বর রেলগেট পর্যন্ত মিছিল বের করে যানবাহন চলাচলে বাধা দেন তাঁরা।

হরতালে শুরুর দিকে বাধা না দিলেও পরে মিছিল থামাতে রাস্তায় নামেন সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ জামান। বামজোটের মিছিলটি চাষাঢ়ার বিজয়স্তম্ভের সামনে আসলে সদর মডেল থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশ মিছিলে বাধা দেয়। বাধা উপেক্ষা করে মিছিলটি এগিয়ে যেতে চাইলে লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
লাঠিচার্জে নেতা-কর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলেও পরে নেতারা ব্যানার ধরে রেখে মিছিল চালিয়ে যান। সেখান থেকে দুই নম্বর রেলগেট এলাকায় মিছিল এলে আবারও পুলিশের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়। পরে পুলিশের লাঠিচার্জের প্রতিবাদে সংক্ষিপ্ত পথসভা করেন জোটের নেতা-কর্মীরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নারায়ণগঞ্জ জেলা সমন্বয়ক ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বাসদের সমন্বয়ক নিখিল দাস,নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি হাফিজুল ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলা সমন্বয়ক তরিকুল সুজন, নির্বাহী সমন্বয়কারী অঞ্জন দাস, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি আবু হাসান টিপু, বাসদ নেতা আবু নাঈম বিপ্লবসহ প্রমুখ।
পুলিশের লাঠিচার্জে গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক তরিকুল সুজন বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের এখন নাভিশ্বাস অবস্থা। আমাদের শান্তিপূর্ণ হরতালে পুলিশ বাধা দিয়েছে, বেধড়ক লাঠিচার্জ করেছে। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বেতন ভোগ করে জনগণের আন্দোলনের ওপর হামলা চালায় পুলিশ। আওয়ামী লীগ সরকার শুধু লুটপাট চালাচ্ছে না, সেই লুটপাটের বিরুদ্ধে জনগণ প্রতিবাদ করলে তাদের দমন করতে পুলিশকে ব্যবহার করছে।’
হরতালের বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম বলেন, ‘হরতালে নাশকতা বা সহিংসতা প্রতিরোধে প্রস্তুত থাকবে পুলিশ প্রশাসন। আমরা কোনো নাশকতা বরদাশত করব না। মানুষের চলাচল স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্টের পাশাপাশি মোবাইল টিম সক্রিয় রয়েছে।’