মতামত
কেবলমাত্র পুষ্পস্তবক অর্পণে শ্রদ্ধা নিবেদন নয়, চাই কার্যকরী পদক্ষেপ : শেখ আরিফ

আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও জাতীয় শহীদ দিবস। আমরা আমাদের মনের ভাব প্রকাশের জন্য যে ভাষা ব্যবহার করে চলছি প্রতিনিয়ত তার রয়েছে এক গৌরবময় ইতিহাস। ১৯৫২সালে ২১শে ফেব্রুয়ারি ৮ই ফাল্গুন এদেশের তরুণ সমাজ যারা বুকের তাজা রক্ত দিয়েছেন। তাই ঐসব বাংলা মায়ের দামাল সন্তানেরা যারা জীবনের পড়োয়া না করে বীরের বেশে মায়ের ভাষা বাংলাকে প্রতিষ্ঠিত করার দাবীতে মিছিলে মিছিলে রাজপথ প্রকম্পিত করেছিলেন, যারা সেদিন নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে আমাদেরকে বাংলা ভাষায় কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছেন, তাদের প্রতি জানাই অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে বিনম্র শ্রদ্ধা। কিন্তু বড় পরিতাপের বিষয়, আমরা কেবলমাত্র বিভিন্ন দিবস উদযাপন উপলক্ষে বুঝি শহীদ মিনারে বা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতিবিজড়িত স্থান সমূহে শ্রদ্ধা নিবেদন করেই ক্ষান্ত হয়ে যাওয়া। অথচ আমরা এর জন্য করছি না কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ। আমাদের প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম পর্যন্ত সেই বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, উনিশশো ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, উনিশশো একাত্তর সালের মুক্তিযুদ্ধ সহ বাংলার দামাল সূর্যসন্তানেরা নিজের জীবনের পরোয়া না করে বেরিয়ে গেছেন আন্দোলনের জন্য। আর তাই তারা রেখে গেছেন এক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। তাই এইসব ইতিহাস সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা বা তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন আমরা যথার্থভাবে করিনা। তাই এই নতুন প্রজন্মের জন্য আধুনিক ও যুগোপযোগী কার্যকরী এবং ফলশ্রুতি পূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম পর্যন্ত আমাদের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা। আর সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়ার এর জন্য এগিয়ে আসতে হবে তরুণসমাজকেই কারণ তরুণরাই পারে তারুণ্যের উচ্ছ্বাসের একটি দেশ, একটি সমাজ, একটি রাষ্ট্রকে পরিবর্তন করতে। তাই বিশ্বে যত পরিবর্তন হয়েছে তা তরুণদের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। ভাষা সহ সকল শহীদদের আত্মত্যাগ থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা আদর্শের সোনার বাংলা গড়ার অঙ্গিকার করতে হবে। লেখক: শেখ মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম প্রগতিশীল কলামিস্ট শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার।