আন্তর্জাতিকরাজনীতি
সৈন্য ফেরালেও উত্তেজনা কমানোর ইঙ্গিত নেই রাশিয়ার: ন্যাটো
ইউক্রেনের সীমান্ত এলাকা থেকে কিছু সৈন্য ঘাঁটিতে ফিরিয়ে নিলেও রাশিয়ার পক্ষ থেকে উত্তেজনা প্রশমনের কোনও লক্ষণ এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ। মঙ্গলবার ব্রাসেলসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ন্যাটোর এই মহাসচিব বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের সীমান্তে রাশিয়ার পক্ষ থেকে উত্তেজনা কমানোর কোনও লক্ষ্য দেখতে পাইনি। তবে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা সম্পর্কে মস্কো থেকে আসা ‘লক্ষণ’ সতর্কভাবে আশাবাদী করছে।
ইউক্রেনের সীমান্তে তীব্র সামরিক সমাবেশের মাঝে কূটনৈতিক সমাধান পথ খোঁজায় রাশিয়ার সিদ্ধান্তে স্বাগত জানিয়েছেন ন্যাটোর প্রধান। তবে কূটনৈতিক সমাধানের এই ইঙ্গিত যাতে কাজ করে সেটি প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ব্রাসেলসে ন্যাটো জোটের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের দুই দিনের বৈঠক শুরুর আগে মঙ্গলবার জেনস স্টলটেনবার্গ বলেছেন, কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা উচিত, মস্কো থেকে সেই ইঙ্গিত মিলছে। এটি সতর্ক আশাবাদ তৈরি করেছে। তবে আমরা এখনও রাশিয়ার পক্ষ থেকে উত্তেজনা নিরসনের কোনও ইঙ্গিত দেখতে পাচ্ছি না।
স্নায়ু যুদ্ধের পর এবারই পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেনের তিন দিকে নজিরবিহীন সৈন্য সমাবেশ করেছে রাশিয়া। এসব কিছুই করা হয়েছে নতুন হামলা চালানোর জন্য। তবে একেবারে প্রান্ত থেকে রাশিয়ার ফেরার এখনও সময় আছে। যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি বন্ধ এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য কাজ শুরু করতে রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্টলটেনবার্গ।
ইউরোপের বর্তমান পরিস্থিতিকে গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর নিরাপত্তা সংকট বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
এদিকে, গত প্রায় দু’মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ বাঁধানোর যে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছিল, ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার পাশ্চাত্যের দেশগুলোর এই প্রচারণায় ‘পানি ঢেলে দিয়েছে’ বলে বিদ্রুপ করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা।
মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে মারিয়া জাকারোভা বলেন, ‘বিশ্বের ইতিহাসে আজকের দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। কারণ আজ, ১৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববাসী দেখল পশ্চিমা দেশগুলোর যুদ্ধ বিষয়ক প্রচার-প্রচারণা কত করুণভাবে ব্যর্থ হয়েছে।’
‘কোথাও একটি গুলিও চলেনি, কিন্তু ইউরোপ যে কী পরিমাণ লজ্জা পেয়েছে— তা আমরা সবাই অনুভব করতে পারছি।’