নারায়ণগঞ্জনির্বাচনী হালচালবন্দরসিদ্ধিরগঞ্জ

দিনশেষে সকলেই নৌকার পালে আসবে : ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, কে মাঠে কোন মার্কা নিয়ে আসবে সেটা আমার দেখার ব্যাপার না। আমার আস্থা আমার জনগণ। আমার জনগণ আমাকে দীর্ঘদিন দেখেছে, আমি কাজ করছি মানুষের জন্য, মানুষের কল্যাণে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস জনগণ আমাকে ভোট দিবে।

বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর  নগরীর দেওভোগে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন তিনি৷

তিনি বলেন, প্রত্যেকটা মানুষেরই নিজস্ব কৌশল থাকতে পারে৷ অথবা কোন দলের নিজস্ব কৌশল থাকতে পারে। আমি তো আর সেই ব্যাপারে বলতে পারবো না। আমি আমার দলের কৌশলটা বলতে পারবো। অন্যদের কথা আমার পক্ষে বলাটা ঠিক না। এবং আমি জানিও না আসলে তাদের কী কৌশল। আমার দলের কৌশল সরাসরি ও খোলামেলা৷ তা হলো, নৌকা নিয়ে নির্বাচন করতে হবে। দল আমাকে মনোনীত করেছে। আমি নৌকা নিয়েই নির্বাচন করবো। কে মাঠে কোন মার্কা নিয়ে আসবে সেটা আমার দেখার ব্যাপার না। আমার আস্থা আমার জনগণ। আমার জনগণ আমাকে দীর্ঘদিন দেখেছে, আমি কাজ করছি মানুষের জন্য, মানুষের কল্যাণে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস জনগণ আমাকে ভোট দিবে।

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের উত্তরে জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি আইভী বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে পূর্বেও মার্কা ছিল না। কিন্তু দল সমর্থিত প্রার্থী থাকতো। সেক্ষেত্রে কার কী কৌশল তাতো জানার কথা না। মার্কাটাই মুখ্য ব্যাপার না, এখানে ব্যক্তি ইমেজেরও একটা ব্যাপার আছে। দেখা যাক কী হয়, ইনশাল্লাহ।

আইভী বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে তৃতীয়বারের মতো সরকারি দল থেকে নির্বাচন করছি। ২০০৩ এ আমি বিরোধী দলে ছিলাম। তখন থেকে এখন পর্যন্ত আমার জোরালো দাবি ছিল যে, সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হবে। এবারও ইনশাল্লাহ সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। নারায়ণগঞ্জের ব্যাপারে আমার মনে হয় না কারও কোনো দ্বিমত আছে যে, এখানে একটা সুষ্ঠু নিরপেক্ষ স্বাভাবিক নির্বাচন হয়।

তিনি আরও বলেন,  ২০১১ তে যখন ইভিএম হয়েছিল তখন অনেকে আপত্তি তুলেছিল৷ পৃথিবীর সব জায়গায় ইভিএমে ভোট হচ্ছে। আমি তখনও ইভিএমকে স্বাগত জানিয়েছি, এখনও স্বাগত জানাই। ২০১১ তে কিন্তু নারায়ণগঞ্জে মধ্যে প্রায় তিন থেকে চারটি ওয়ার্ডে ইভিএমে নির্বাচন হয়েছিল পরীক্ষামূলকভাবে। তখনও তো স্বাগত জানিয়েছি৷

আইভী বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে সেটা বুঝা যাবে এবং মানুষ তো স্বতঃস্ফুর্তভাবে যায়। নির্বাচনের দু-এক দিন আগে কেন এক সপ্তাহ আগে থেকেই বুঝা যায় যে, জনগণ কাকে চাচ্ছে। কাকে ভোট দিতে চাচ্ছে। ইভিএম কোন বাধা হয়ে দাঁড়াবে বলে আমি মনে করি না।

তিনি বলেন, গত সপ্তাহে কিন্তু জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আমাকে সমর্থন করেছে। ব্যক্তি বিশেষ একটু নাখোশ থাকতেই পারে। এটা এই রকম দোষনীয় কিছু না। আওয়ামী লীগ একটা বিশাল বড় দল। সেখানে দু-একজন ব্যক্তিগতভাবে আমাকে পছন্দ নাও করতে পারে এটা এই রকম যে ক্ষতি হয়ে যাবে তা আমি মনে করি না। আমি মনে করি ইন্ড অফ দ্যা ডে সকলেই নৌকার পালে আসবে৷

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close