পরিচিতি

সালমানের বাহারি রঙের মাছের খামারে কোটি টাকার হাতছানি

শখের বশে শুরু করে যশোরের ঝিকরগাছার সালমান সরদার নামের এক যুবক এখন একজন সফল অর্নামেন্টাল ফিস বা বাহারি রঙের মাছ চাষি।

মাত্র ১৫শ টাকায় মাত্র ৬০টি রঙিন মাছ দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন ঝিকরগাছার পানিসারা ইউনিয়নের নারাঙ্গালি গ্রামের তরুণ সালমান সরদার। এখন গড়ে তুলেছেন প্রায় কোটি টাকার বাণিজ্যিক খামার। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের অ্যাকুরিয়ামের মাছের চাহিদা পূরণ করছেন তিনি। তার এ উদ্যোগে স্থানীয়দের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি তৈরি হয়েছে শতাধিক উদ্যোক্তা।

হ্যাচারি হাউজে স্বচ্ছ পানিতে সাঁতার কাটছে, ডুব দিচ্ছে বাহারি রঙের মাছ। লাল, কমলা, কালো, বাদামি, হলুদ, রূপালি রঙের মাছের ছড়াছড়ি। এখানে দেখা পাওয়া যাবে গোল্ড ফিশ, কমেট, কই কার্প, মিল্কি, সিল্কি, ব্ল্যাক মোর, রেডকার্প, মলি, গাপ্পি, বাটারফ্লাই, গোরামি, ফাইটার, অ্যাঞ্জেল প্রভৃতি বর্ণিল মাছের। যা দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যাবে সবার। শখের বশে কেনা মাছের পেটে ডিম আসায় তা ব্রিডিংয়ের উদ্যোগ নেন তিনি। এরপর থেকে তিনি বাণিজ্যিকভাবে চাষ করছেন এসব রঙিন মাছ। আয় করছেন মাসে লক্ষাধিক টাকা।

কথা হয় সালমান সরদারের বাবা নূর মোহাম্মদের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমার ছেলে পড়াশোনার পাশাপাশি রঙিন মাছের চাষ করে সাবলম্বী হওয়ায় গর্বিত করছি।
সালমান ২০ বিঘা জমিতে ১৫টি পুকুরে চাষ করছেন রঙিন মাছ। সৃষ্টি হয়েছে কর্মসংস্থান। সালমান বলেন, আমার সংগ্রহে রয়েছে ৫০ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ৫২ প্রজাতির রঙিন মাছ। ২০২১ সালের মধ্যে এ মাছ রফতানির টার্গেট রয়েছে। দেখো গেছে, বিভিন্ন জেলার উদ্যোক্তারা সালমানের খামার থেকে মাছ সংগ্রহ করছেন। আবার তার অনুপ্রেরণায় নিজেদের সাবলম্বী করার চেষ্টাও করছেন।

জেলার মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা মো. আনিসুর রহমান জানান, পুরোপুরি আমদানি নির্ভর এ খাতের অর্ধেকের বেশি চাহিদা পূরণ করছেন সালমানের মতো তরুণরা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close