জেলা/উপজেলাসারাদেশ
আদমজী ইপিজেডে গার্মেন্টসের কর্মকর্তার উপর থুথু ফেলার জেরে অর্ধশতাধিক গাড়ি ভাংচুর

স্টাফ রিপোর্টার, বজ্রধ্বনি: নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজী ইপিজেডে অনন্ত হুয়াজিং গার্মেন্টসের এইচ আর এ্যাডমিন মামুনের শরীরে অসাবধনতা বশতঃ থুথু ফেলায় পোশাক শ্রমিকদের যাতায়াতে ব্যবহৃত ৪৯ টি গাড়ি ভাঙচুর করেছে পোশাক শ্রমিকরা। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আদমজী ইপিজেডে এ ঘটনা ঘটে।
আদমজী ইপিজেডের নিরাপত্তা ব্যবস্থার নিস্কৃয়তায় শ্রমিকরা একের পর এক অর্ধশতাধিক গাড়ি ভাংচুর করলেও তাদের তান্ডবকে নিবৃত করেনি নিরাপত্তাকর্মীরা। এতে আদমজী ইপিজেডের প্রতিষ্ঠান মালিক ও কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। এ ঘটনায় ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছে। এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীরা বেপজার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
আদমজী ইপিজেডের শ্রমিকরা জানায়, রোজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কারখানা থেকে বের হয়ে রাস্তার পাশে সারিবদ্ধভাবে থাকা মিনিবাসগুলোর পাশ দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় গাড়িতে থাকা এক পোশাক শ্রমিক অসাবধনতা বশতঃ থুথু ফেললে অনন্ত হুয়াজিং গার্মেন্টের এইচ আর এ্যাডমিন মামুনের উপর পড়ে। এ ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যায় এইচ আর এডমিন মামুন ও ষ্টোর কিপার নাসির অন্যান্য শ্রমিকদের উসকানি দিয়ে গাড়ি ভাঙচুরে উদ্বুদ্ধ করে। এসময় মামুন ও নাসিরের নেতৃত্বে প্রায় দেড় শতাধিক পোশাক শ্রমিক ইট ও লাঠিশোটা নিয়ে রাস্তার পাশে পার্কিং করা ৪৯ টি গাড়ি ভাঙচুর করে। হামলার সময় গাড়িতে থাকা প্রায় ১০ জন শ্রমিক আহত হয়। খবর পেয়ে র্যাব-১১ সদস্যরা, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ, শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে সাইফুল, সেলিম, নূরুল, রুবেল, গাড়ী চালক সানি ও মানিক মিয়াসহ ১০ শ্রমিক আহত হয়।
আহত শ্রমিকরা জানায়, হামলা চলাকালীন সময় আমরা আদমজী ইপিজেডের সিকিডউরিটি কনসালটেন্ট মেজর (অবঃ) আবু তালেব শেখ ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা সিরাজসহ আদমজী ইপিজেডের নিরাপত্তা প্রহরীদের জানালেও তারা বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের তান্ডব চালানো থেকে নিবৃত করেনি। এতে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা দীর্ঘক্ষণ তান্ডব চালিয়ে প্রায় অর্ধশতাধিক গাড়ি ভাংচুর করে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর শাহিন শাহ পারভেজ জানায়, মঙ্গলবার এক শ্রমিক থুথু ফেলানোর কারণে মামুন নামে এক এইচআর এডমিন ও স্টোর কিপার নাসিরের নের্তৃত্বে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা গাড়িগুলো ভাংচুর করে। শ্রমিকদের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমরা ও র্যাব ঘটনাস্থলে আসার পর মামুন ও নাসিরসহ তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়।