জাতীয়রাজনীতিসারাদেশ

বিএনপির তারুণ্যের রোডমার্চে কর্মী ভর্তি মাইক্রোবাসে আগুন

বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি তারুণ্যের রোডমার্চে অংশ নিতে নাটোর থেকে বগুড়া যাওয়ার পথে একটি হায়েস মাইক্রোবাসে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় গাড়ির নেতাকর্মীদের দেশীয় অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগও উঠে।

রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের ডাল সড়ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

খবর পেয়ে নাটোর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় নেতাকর্মীরা দৌড়ে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়েন।

তবে গাড়িমালিকের দাবি, নওগাঁয় বিয়ের জন্য কনে দেখার কথা বলে গাড়িটি ভাড়া করা হয়েছিল।

এর আগে রোববার সকাল ৬টার দিকে সদরের তেবাড়িয়াহাট এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের বহনকারী আরেকটি গাড়িতে হামলা চালানো হয়।

এ সময় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানাকে বেধড়ক মারধর করা হয়।  পরে তাকে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নাটোর-ঢাকা মহাসড়কের সদরের সৈয়দ মোড় এলাকায়ও প্রায় একই সময়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এখানেও হামলায় আহত হয়েছেন লালপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আনোয়ারুল ইসলাম, কাবিল উদ্দিন. যুবদল নেতা মজনু পাটোয়ারী প্রমুখ।
আহত কাবিল উদ্দিনকেও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, বগুড়ায় তারুণ্যের রোডমার্চে অংশ নেওয়ার জন্য লালপুর থেকে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে আওয়ামী লীগের লোকজন পথরোধ করে গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়ে আবার তাদের মারধর করে।

আহত নেতাকর্মীরা প্রাণ বাঁচাতে প্রথমে স্থানীয় একটি মসজিদে আশ্রয় নিয়েছিলেন। পরে সেখান থেকে নিরাপদে যার যার এলাকায় চলে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালকুদার দুলু বলেছেন, কোনো কারণ ছাড়াই ভোর থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের ওপরে হামলা করা হয়েছে। হামলায় দলের ৩০-৩৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন।
ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা এসব হামলা করেছেন বলেও তিনি দাবি করেন।

নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান বিএনপি নেতাদের দাবি নাকচ করে বলেছেন, রোববারের এসব ঘটনার সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক নেই। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কারও ওপরে কোনো হামলা বা অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায়নি।

নাটোর সদর থানার ওসি নাছিম আহম্মেদ জানান, গাড়িতে আগুন লেগেছে এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। গাড়ির আগুন নেভানো হয়েছে। তবে কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে জানা নেই। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত মাইক্রোবাসটি নাটোর থানায় আনা হয়েছে।

এদিকে পুড়িয়ে দেওয়া মাইক্রোবাস মালিক রফিকুল ইসলামের দাবি— নওগাঁয় বিয়ের জন্য কনে দেখার কথা বলে এটি ভাড়া করা হয়েছিল।

তিনি জানান, রোববার সকালে বগুড়া হয়ে নওগাঁয় যাওয়ার সময় তার গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। এ সময় আগুনে তার গাড়িটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close