নারায়ণগঞ্জনারায়ণগঞ্জ সদররাজনীতি

গ্যাস-বিদ্যুৎতের দাম বৃদ্ধির কারন মন্ত্রী ও এমপিদের লুটপাট: সেন্টু

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৭ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে অসহায় শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন মহানগর বিএনপি। শনিবার (২১ জানুয়ারী) বেলা ১২ টায় বন্দর থানাধীন কবিলের মোড় এলাকায় এই শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি হাজী নুরু উদ্দিন আহম্মেদের সভাপতিত্বে ও সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল। প্রধানবক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক এড. জাকির হোসেন, মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কাউছার আশা।

মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে আমরা শীতার্ত মানুষকে শীতবস্ত্র বিতরণ করার ব্যবস্থা করেছি। যারা এই কর্মসূচি সফল করার জন্য উপস্থিত হয়েছেন তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সেই সাথে আগামী দিনে আন্দোলন সংগ্রামে সকলকে অংশগ্রহন করার আহবান জানাচ্ছি। কারন ফ্যসিবাদী সরকারের হাত থেকে দেশের গণতন্ত্রকে উদ্ধার করতে হলে আন্দোলনের কোন বিকল্প নাই।

মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক এড. জাকির হোসেন বলেন, দেশের জনগণের টাকা লুটপাট করে বিদেশে সম্পদের পাহার গড়ে তুলছেন। কোন লাভ হবে না। দেশের মানুষের চোখ ফাকি দিয়ে একজনও পালাতে পারবেন না। গণতন্ত্র হত্যা ও লুটপাটের হিসেব এই দেশের মাটিতে দিতে হবে।

মহানগর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেন, বাংলাদেশের মানুষের বর্তমান খুব অসহায় অবস্থায় আছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিসহ প্রতিনিয়তই গ্যাস ও বিদ্যুৎতের দাম বৃদ্ধি হচ্ছে। এর প্রধান কারন অবৈধ সরকারে মন্ত্রী ও এমপিদের লুটপাট। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ৭ কোটি মানুষের জন্য বিদেশ থেকে কম্বল পাঠিয়ে ছিলো। কিন্তু সেই কম্বল ভারতের বিভিন্ন মার্কেটে বিক্রি করেছিলো তৎকালিন সরকারের মন্ত্রী ও এমপিরা। সে সময় দু:খ প্রকাশ করে বঙ্গবন্ধু বলে ছিলো “সবাই পায়েছে তৈলের খনি আর আমি পেয়েছি চোরের খনি” এই হলো আওয়ামীলীগের অবস্থা।

এ সময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম মজনু, মনিরুজ্জামান মনির, যুববিষয়ক সম্পাদক মনোয়ার হোসেন শোখন, সাবেক ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সরকার আলম, শিশু বিষয়ক সম্পাদক মেজবা উদ্দিন স্বপন, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. শরীফুল ইসলাম শিপলু, সহ-ত্রান বিষয়ক সম্পাদক শহীদ মেম্বর, মহানগর বিএনপি নেতা এ্যাড. বিল্লাল হোসেন, আল-মামুন, ফরিদ আহম্মেদ, আবুল কাশেম, আব্দুল মালেক মেম্বার, মোহাম্মদ হোসেন কাজল, আবুল হোসেন সরদার, মোসলে উদ্দিন মেম্বার, পনির হোসেন, কাউন্সিলর সুলতান আহম্মেদ, সাবেক কাউন্সিলর হান্নান সরকার, আলম, ফারুক চৌধুরীম, মহিবুল, আকতার, তাওলাদ, নান্ঠু, স্বপন, শাহ আলম, নেছার উদ্দিন, মাসুদ রানা, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি মোস্তাক আহম্মেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদেউস রাজীব, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সোহেল, শাকিল, খোকন, সফিক, মহানগর ছাত্রদল নেতা রনি, রেহান, মৃধুন, শিশির, গোলজার হোসেনসহ নেতৃবৃন্দ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close