জাতীয়নারায়ণগঞ্জরাজনীতি

যুগপৎ আন্দোলনের ১০ দফা দাবি আদায়ে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির গণমিছিল

যুগপৎ আন্দোলনের ১০ দফা দাবি আদায়ে শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে নবাব সলিমুল্লাহ সড়কের মিশনপাড়া এলাকায় এই কথা বলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন।

কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জের গণমিছিল ও গণবিক্ষোভ করে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি ও অংশ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, এক জন ব্যক্তি মাঝে মাঝেই বলেন, খেলা হবে। আমি সেই নেতার উদ্দেশ্যে বলতে চাই। সর্বশেষ ১০টি খেলায় বিএনপি জিতেছে, আগামী ৩০ তারিখে ঢাকায় যে খেলা হবে, সেই খেলাতেও বাংলাদেশ জাতিয়তাবাদী দল জিতবে। বাংলাদেশের গণমানুষের বিজয় লাভ হবে। ইনশাআল্লাহ। ‘এই সরকার একটা অবৈধ সরকার, নিশি রাতের সরকার। এই সরকার মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হরন করে নিয়ে গেছে। এই সরকার বাংলাদেশকে কারাগারে পরিনত করেছে। এই সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সারাদেশে হাজার হাজার গায়বী মামলা দিয়েছে। বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীতের জামিন না মঞ্জুর করার ব্যবস্থা করেছেন। এখন আবার ২০১৪ সাল ও ২০১৮ সালের মতো ভোট চুরি করে নির্বাচিত হয়ে দেশের সমস্ত সম্পদ পাচার করে দেওয়ার চিন্তা করছে। এই দেশে জিয়ার সৈনিকেরা বেঁচে থাকতে তা হবে না। বাংলাদেশের মানুষ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের আর্দশে বিশ্বাস করে। বাংলাদেশের মানুষ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আর্দশে বিশ্বাস করে। বাংলাদেশের মানুষ বেগম খালেদা জিয়ার আদর্শে বিশ্বাস করে। বাংলাদেশের মানুষ আগামীর নেতা তারেক রহমানকে বিশ্বাস করে। এই নিশি রাতের সরকার যত অত্যাচার করুক না কেন, কোন অবস্থাতেই দাবিয়ে রাখতে পারবে না।

কর্মসূচি থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাসসহ সকল কারাবন্দিদের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।

জয়নুল আবেদীন আরও বলেন, গত ৭ তারিখে আমাদের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের অফিস থেকে সাড়ে ৪’শ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। তার ৩দিন পরে আমাদের দলের মহাসচিব ও মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেছে। অনেক জায়গায় শুনেছি, পুলিশ গুলি ছুড়ে আমাদের নেতাকর্মীদের আহত করেছে। গণমিছিলও করতে দিচ্ছে না। অর্থাৎ এই সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তাই বাংলাদেশে এই সরকারের অধিনে কোন নির্বাচন হবে না। বিগত সময় যে নির্বাচন কমিশন ছিল, তার চেয়েও খারাপ এই কমিশন। এর অধিনে আমরা কোন নির্বাচন মানি না। আপনারা জানেন, এদেশের লক্ষ কোটি টাকা পাচার করেছে। বাংক গুলো খালি করে দিয়েছে। তাই মানুষ চায় এখন জাতীয়তাবাদী সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে। তারই প্রতিফল নারায়ণগঞ্জে আপনাদের উপস্থিতি।

বক্তব্য শেষে মিশনপাড়া থেকে গণমিছিল বের করেন নেতাকর্মীরা। পরে চাষাঢ়া বিজয়স্তম্ভে গিয়ে শেষ করেন। এতে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার, রূপগঞ্জ, সোনারগাঁ, বন্দর, সিদ্ধিরগঞ্জসহ জেলা ও মহানগর বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটের হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের নেতৃত্বে এই সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিয়ষক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকন, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু আল ইউসুফ খান টিপু, যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, শহিদুল ইসলাম টিটু, মাসুকুল ইসলাম রাজীব প্রমুখ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close