আইন ও অধিকারচট্টগ্রাম

অবিলম্বে চট্রগ্রাম সিটিতে হোল্ডিং ট্যাক্স আইন পরিবর্তনের দাবীতে সমাবেশ

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ চট্টগ্রামবাসিকে দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে
অবিলম্বে হোল্ডিং ট্যাক্স আইন পরিবর্তণ করুন —– চট্রগ্রাম সিটি মেয়রের প্রতি করদাতা সুরক্ষা পরিষদের হুশিয়ারী

হোল্ডিং ট্যাক্স আইন পরিবর্তন করে পুরানো নিয়মে আয়তনের ভিত্তিতে গৃহকর নেয়ার দাবীতে চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদের সভাপতি মোঃ নুরুল আবছারের সভাপতিত্বে গতকাল বিকেলে অনুষ্ঠিত সভায় সংগঠনের সাধারন সম্পাদক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মুহম্মদ আমির উদ্দিন মেয়রের প্রতি এ হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেন, ‘আপনি নির্বাচনী প্রচারে পাড়া-মহল্লা, অলিতে-গলিতে পথসভা করে চট্টগ্রামবাসিকে গৃহকর না বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন কিন্তু চেয়ারে বসে এক বছর যেতে না যেতে ২০১৬ সালে করা স্থগিতকৃত ঘরভাড়ার উপর অন্যায্য কর নেয়ার তোড়জোড় শুরু করে দিলেন-এভাবে ওয়াদা ভঙ্গ করা আপনার মতো একজন আদি অধিবাসি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, প্রাজ্ঞ রাজনীতিবিদ নগর পিতার পক্ষে মানানসই নয়। তিনি আরো বলেন, ভাড়ার উপর হোল্ডিং ট্যাক্স বাংলাদেশের কোথাও পৃথিবীর কিংবা নেই-তাই চট্টগ্রামবাসির উপর এ যন্ত্রণাদায়ক পরীক্ষা না চালিয়ে অবিলম্বে স্বৈরাচারী আমলে করা অকার্যকর আইন বাতিল করে যৌক্তিক উপায়ে গৃহকর না নিলে সুরক্ষার আন্দোলন অব্যাহক থাকবে। তিনি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে, পাড়া-মহল্লায় কমিটি গঠণ করে আগামী ২৩ শে সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকাল ৩টায় কদমতলীতে গণমিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করে চট্টগ্রামবাসিকে এতে অংশগ্রহণ করার জন্য উদাত্ত আহবান জানান।
সংগঠনের সভাপতি মোঃ নুরুল আফছার বলেন, ২০১৮ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণায় ফায়সালা হওয়া বিষয়ে দ্বিতীয়বার রাস্তায় নামা চট্টগ্রামবাসির জন্য বিব্রতকর। চট্টগ্রামবাসি ঘরভাড়ার আয়ের উপর আয়কর দেয়, পূণরায় গৃহকর নেয়া অযৌক্তিক।  বাড়িভাড়ার উপর গৃহকর ধার্য্য করায় যে অস¦াভাবিক কর আসছে তা কোন সৎ নাগরিকের পক্ষে পরিশোধে ব্যর্থ হবার কারণে আদি চট্টগ্রামবাসি বাসÍচ্যুত হয়ে রোহিঙ্গা ভাগ্য বরণে বাধ্য হবে।তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামবাসি বাড়িভাড়া আয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। সাংসারিক ব্যয় নির্বাহের পর এ অস্বাভাবিক গৃহকর পরিশোধ করার সামর্থ ভবন মালিকের নেই-এটাই বাস্তবতা-এখানে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কিছু নেই। করোনাকালিন সময়ে ভেঙে পড়া চট্টগ্রামের অর্থনীতি এখনো নাজুক অবস্থায় রয়েছে এর উপর অন্যায্য হোল্ডিং ট্যাক্স ‘মড়ার উপর খাড়ার ঘা’।

সাজ্জাদ হোসেন জাফর ও সোহেল আহমদের সঞ্চালনায় সংগঠনের অন্যতম নেতা হাসান মারূফ রূমি বলেন, মেয়র সাহেব আপীলের কথা বলছেন-১০ হাজার টাকার ট্যাক্স ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে ২০ হাজার টাকা ঘুষ নিয়ে ৬০-৭০ শতাংশ কমালেও তা ৫গুণ বর্ধিত রয়ে যায়।কর্পোরেশনের রাজস্ব বিভাগের প্রতি নজর দেয়ার জন্য তিনি দুদকের প্রতি আহবান জানান। সংরক্ষিত আসনের সাবেক কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস পপি বলেন, সুরক্ষার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামবাসির উপর জেঁকে বসা করের বোঝা দুর হবে। মেয়র সাহের নিজেই নিজের বিরোধীতা করছেন যা অত্যন্ত হাস্যকর। সাবেক কাউন্সিলর আবদুল মালেক বলেন, আপিলের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার ঘুষ বাণিজ্য হচ্ছে। অবিলম্বে এটি বন্ধ করতে হবে নচেৎ কর্পোরেশন অফিস ঘেরাও করা হবে।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সুরক্ষার নেতা মুজিবুল হক,  হাজী হারুনুর রশীদ, মফিজুর রহমান, এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, মীর মোঃ ইসলাম, মোঃ নজরুল ইসলাম, অ্যারশাদ হোসেন, হাজী সৈয়দ হোসেন, হাসান ইমরান, হাসান মুরাদ শাহ, মোঃ ইসলাম, মোঃ আনোয়ার প্রমূখ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close