আন্তর্জাতিকখেলাধুলাজাতীয়

ঘরের মাঠে সিরিজ হারের লজ্জায় ডুবলো টাইগাররা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ১০৮ রানের পুঁজি নিয়ে লড়াই হবে না, এটা অনুমেয়ই ছিল। পাকিস্তানি ব্যাটাররাও ঝুঁকি নিতে চাইলেন না। ধীরে-সুস্থে, দেখে-শুনে ব্যাটিং করার দিকেই ছিলো সবচেয়ে বেশি মনযোগী।

যার ফলে ১০৯ রানের লক্ষ্য ১১ বল হাতে রেখেই পার হয়ে গেলো পাকিস্তান। বাংলাদেশকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিলো বাবর আজমের দল। শেষ ম্যাচটি এখন পরিণত হয়েছে কেবলই আনুষ্ঠানিকতায়
১০৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র দুটি উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তান। শুরুতেই বাবর আজমকে বোল্ড করেছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান।
ইনিংসে তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বল করতে আসেন মোস্তাফিজ। তার লেন্থ বলটিকে খেলতে যান বাবর আজম। কিন্তু ভেতরের কানায় লাগিয়ে বলটিকে টেনে নেন স্ট্যাম্পে। বোল্ড হযে গেলেন তিনি মাত্র ১ রানে। বল খেলেছেন তিনি ৫টি। আগের ম্যাচেও একইভাবে বোল্ড হয়েছিলেন বাবর আজম। ওই ম্যাচে তাসকিন আহমেদের একই ধরনের একটি বল খেলতে গিয়ে নিজের স্ট্যাম্পে টেনে আনেন বাবর।
দলীয় ৯৭ রানরে মাথায় লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের বলে সাইফ হাসানের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ইনফর্ম ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ান। ৪৫ বল খেলে ৩৯ রান করেন তিনি। ৪টি মারেন বাউন্ডারির মার।
ফাখর জামান ছিলেন দুর্বোধ্য। ৫১ বল খেলে তিনি করেন ৫৭ রান। মূলতঃ মোহাম্মদ রিজওয়ান আর ফাখর জামানের ব্যাটিং দেখলেই বোঝা যায়, কতটা রয়েসয়ে ব্যাটিং করে গেছেন তারা। ৮৫ রানের জুটি গড়েছেন তারা ৭৮ বলে। টি-টোয়েন্টিতে রীতিমত অবিশ্বাস্য স্লো ব্যাটিং।
কিন্তু ১০৯ রান তাড়া করতে গিয়ে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা অহেতুক তাড়াহুড়ো করেননি এবং উইকেট হারাননি। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ উইকেটের পতন ঘটাতে ব্যবহার করেন ৮জন বোলার। আগের ম্যাচে অধিনায়ক বোলিং করাননি লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে দিয়ে। যার কারণে তুমুল সমালোচনার শিকার হন তিনি।
ফলে, আজ মেহেদী হাসান আর তাসকিন আহমেদের পর আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে দিয়েই পূর্ণ ৪ ওভার বোলিং করালেন। বিপ্লব রান দিয়েছেন ৩০টি। সবচেয়ে বেশি ইকনোমি রেটে (৭.৫০)। উইকেট নিয়েছেন ১টি। সিরিজের শেষ ম্যাচ ২২ নভেম্বর,  সোমবার অনুষ্ঠিত হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close