Uncategorized
২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশার পক্ষে এসপির কাছে ১২ কাউন্সিলরের আবেদন

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কাউছার আশার বিরুদ্ধে হয়রানীমূলক মামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন ১২ কাউন্সিলর। তারা নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবরে এ বিষয়ে লিখিত আবেদন দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) দুপুরে পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম পিপিএম (বার)’র সঙ্গে দেখা করে তার হাতে আবেদনটি হস্তান্তর করেন তারা।
লিখিত আবেদনে তারা উল্লেখ করেন, বন্দর থানার (মামলা নং-৭(৫)২০২২, ধারা-৩০২/২০১/১০৯ দ: বি:) একটি মামলায় ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কাউছার আশাসহ অন্যান্যদের অযথা হয়রানী ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ও অসৎ উদ্দেশ্যে জড়িত করা হয়েছে। প্রকৃত রহস্য ও ঘটনা উদঘাটন হওয়া আবশ্যক। কাউন্সিলর আবুল কাউছার আশাসহ অন্যান্যদের অত্র মামলায় অযথা হয়রানী করার কারণে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৩নং ওয়ার্ডের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। তাই আবুল কাউছার আশাকে অত্র মামলায় হয়রানী বন্ধ করা একান্ত আবশ্যক।
আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, এভাবে হয়রানীমুলক মামলা হতে থাকলে আমরা কাউন্সিলর বৃন্দ এলাকার উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে দায়িত্ব পালনে নিরুৎসায়িত হবো। যার কারণে সিটি করপোরেশনের জনগত স্বতস্ফুর্ত সেবা হতে বঞ্চিত হবে।
আবেদনে সাক্ষর করেন, ১২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু, ১৮নং ওয়ার্ডের কামরুল হাসান মুন্না, ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু, ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব ইফতেখার আলম খোকন, সংরক্ষিত (১৬, ১৭, ১৮) মহিলা কাউন্সিলর আফরোজা হাসান বিভা, সংরক্ষিত (১০, ১১, ১২) মহিলা কাউন্সিলর মিনোয়ারা বেগম, মহিলা সংরক্ষিত (৭,৮,৯) মহিলা কাউন্সিলর আয়শা আক্তার দিনা, সংরক্ষিত (২২, ২৩, ২৪) মহিলা কাউন্সিলর শাওন অংকন, ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো: শাহিন মিয়া, ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব শাহেন শাহ আহম্মেদ, ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো: অহিদুল ইসলাম, ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরু উদ্দিন মিয়া।
প্রসঙ্গত: বন্দর উপজেলার বাগবাড়ি এলাকায় পূর্ববিরোধের জেরে সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর আবুল কাউসারের কাছে আহমেদ বাবুর বিরুদ্ধে হাসিনা বেগম নামে এক নারী নালিশ দেন। বিষয়টি সুরাহা না হলে ওই নারী থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১ মে রাত ৯টার দিকে আহমেদ বাবুকে ধরতে যায় বন্দর থানার এসআই রওশন ফেরদৌসের নেতৃত্বে একদল পুলিশ।
পুলিশের ধাওয়ায় বাবু বাড়ির পাশের পুকুরে ঝাঁপ দেন। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। চার দিন পর ৪ মে দুপুরে বাবুর লাশ ভেসে ওঠে পুকুরে। খবর পেয়ে পুলিশ সদস্য ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা লাশটি উদ্ধার করেন। ওই সময় বাবুর ছোট ভাই ইমন আহম্মেদ চিৎকার করে গণমাধ্যমকে বলেন, তাঁর ভাইকে শুধু শুধু পুলিশ হয়রানি করেছে। পুকুরের মধ্যে তাঁর ভাইকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল মারা হয়েছে। পুলিশের ধাওয়ায় পানিতে ডুবে ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ভাই হত্যার বিচার চান।
এদিকে ওই দিন ৪ মে রাতে নিহতের মা লিলি বেগম বাদী হয়ে কাউন্সিলর আবুল কাউছার আশাকে হুকমের আসামী করে ১০ জনের বিরুদ্ধে তার ছেলেকে হত্যা ও গুমের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্য আসামীরা হলেন, নবীগঞ্জ বাগবাড়ি এলাকার আমিনুল (৫৫), হাসিনা বেগম (৪৫), শিপলু (৩২), আফজাল (২২), জিপু (২৬), শহিদুল ইসলাম শইক্কা (৫০), সিরাজুল ইসলাম (৪৫), হাসান (২৬), সোবহান (৩৫)।