বরিশাল বিভাগ
বরিশালে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে সমাবেশ
বিদ্যুৎ খাতের সংস্কার ও বরিশালে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত
আজ ১৪ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল ১১ টায় অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে বরিশাল বিদ্যুৎ গ্রাহক ঐক্য পরিষদের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ভোগান্তি, হয়রানি, জালিয়াতির প্রিপেইড মিটার স্থাপনের সিদ্ধান্ত বাতিল, বিদ্যুৎ বিল থেকে ডিমান্ড চার্জ নামে অর্থ নেয়া বন্ধ ও বিদ্যুৎ খাতের সংস্কারের দাবিতে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বরিশাল বিদ্যুৎ গ্রাহক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশ সভাপতিত্ব করেন দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলু, বক্তব্য রাখেন বিদ্যুৎ গ্রাহক ঐক্য পরিষদের অন্যতম সংগঠক আরিফুর রহমান মিরাজ, ইয়াসমিন সুলতানা, মো: নিয়াজ, মাসুম বিল্লাহ, দেলোয়ার হেসেন, মো: কাওসার হোসেন পলাশ, আব্দুল মান্নান মিয়া, ছাত্রনেতা রাইদুল ইসলাম সাকিব ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক জান্নাত আরা রিয়া।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাত ইতোমধ্যে দুর্নীতিতে আকন্ঠ নিমজ্জিত হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার মাফিয়া অর্থনীতি কায়েমে বিদ্যুৎ খাতকে ব্যাবহার করেছে৷ চুরি বাটপারিকে বৈধতা দেয়ার জন্য দায়মুক্তি আইন পাশ করেছে। ডিমান্ড চার্জের নামে বিভিন্ন অর্থের বোঝা জনগনের কাধে চাপিয়েছে। আমরা হাসিনা সরকারের পাশ করা সকল গনবিরোধী সিদ্ধান্ত বাতিল চাই। আমরা দেখিছি প্রিপেইড মিটার সারাদেশে কিভাবে ভোগান্তি তৈরি করেছে। এই মিটারের দাম ও সংযোজন খরচ অনেক বেশি। বিদ্যুৎ না থেকলেও মিটার রানিং থাকার প্রমান পাওয়া গেছে। তাছাড়া ডিজিট/ নাম্বার বেশি থাকার কারনে অনেকেরই রিচার্জ করতে সমস্যা হবে। তিন বারের বেশি রিচার্জ করতে গেলে মিটার বন্ধ ও টাকা বাজেয়াপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে৷ মিটার সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক ইলেক্ট্রিশিয়ান পাওয়া যাবে না।
আমরা মনে করি বিগত স্বৈরাচারী সরকারের মন্ত্রী এমপি বিদ্যুৎ বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মিটার আমদানিকারক কোম্পানির নীল নকশা এই প্রিপেইড মিটার। আমরা বরিশালাবাসী এই প্রি-পেইড মিটারের ভোগান্তীতে পরতে চাই না’। সভাপতির বক্তব্য দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলু বলেন, ‘বিদ্যুৎ খাত থেকে রেন্টাল, কুইক রেন্টালের নামে ১লক্ষ ৩৬ হাজার কোটি টাকা ইতিমধ্যে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে বিদ্যুৎ খাতে ৭৯ হাজার কোটি টাকা দায় রেখে পালিয়েছে হাসিনা সরকার৷ হাসিনা সরকারের এসব চুরি দুর্নীতির শ্বেতপত্র জনগনের সামনে উন্মোচন করে তাকে যথাযথ শাস্তির আওতায় আনতে হবে। প্রি-পেইড মিটার স্থাপন বন্ধ করে পুরনো মিটারের ত্রুটি সংশোধন করে জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে হবে’।