আইন ও অধিকারঢাকা বিভাগনারায়ণগঞ্জনারায়ণগঞ্জ সদররাজনীতি

ডিজিটাল আইনের মাধ্যমে জনগনের গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতা হরণ করছে সরকার : বজলুর রশীদ ফিরোজ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি, নারায়ণগঞ্জ:
কমরেড সুজাউদ্দিন আহম্মদ বাদল আজীবন মেহনতি শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি একজন সৎ, আর্দশবান, বন্ধুবৎসল মানুষ ছিলেন। তার ৫০ বছর বয়সে এসে তিনি গান শিখেন এবং সাংস্কৃতিক সংগঠন চারণে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০১৯ সালের ৩০ মার্চে তার মৃত্যু বেশ শূন্যতা তৈরি হয়েছে। মৃত্যুদিবসে তার স্বপ্নের আদর্শ মার্কসবাদের ভিত্তিতে একটি শোষণহীন সমাজতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা নির্মাণের সংগ্রামে নিজেদের নিয়োজিত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যায় ২নং রেল গেইটস্থ বাসদ র্কাযালয়ে প্রয়াত চারণ সংগঠক সুজাউদ্দিন আহম্মদ বাদল’র ২য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে চারণ সাংসস্কৃতিক কেন্দ্র নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, বর্তমান সরকার দেশের কর্তৃত্ববাদী শাসন কায়েম করেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে জনগণের গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতা হরণ করছে প্রতিদিন। লেখক মুশতাককে কারাগারে জীবন দিতে হয়েছে। কার্টুনিস্ট কিশোরকে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়েছে। বর্তমান সরকারের অপশাসনে দেশের জনগণ আজ বিপর্যস্ত। নিত্য পণ্যের দাম দফায় দফায় বাড়ছে। বাজারের উপর সরকারের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। উন্নয়নের ডামাডোলের মাঝে চাঁপা পড়ছে অসহায় দরিদ্র মানুষের কান্না। এই করোনাকালে ৭০ ভাগ মানুষের আয় কমেছে, অসংখ্য শ্রমিক চাকরী হারাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতেও সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল ও চিনিকল বন্ধ করে দিয়ে প্রায় ৬০ হাজার শ্রমিককে পথে বসিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সরকার মুক্তিযুদ্ধের বিপরীতে দেশ পরিচালনা করছে। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে সাম্প্রদায়িক মোদিকে অতিথি করার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভুলুন্ঠিত করেছে। স্বাধীনতা বিরোধী মৌলবাদী শক্তিকে দুধ-কলা দিয়ে পুষছে। আজকে এই অপশক্তি হিংস্রতা নিয়ে উপস্থিত হয়েছে। কমরেড বাদল সবসময় বুর্জোয়া অপশাসন ও মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন।

চারণ’র জেলা সংগঠক প্রদীপ সরকার’র সভাপতিত্বে স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন, বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ, জেলার সমন্বয়ক নিখিল দাস, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ভবানী শংকর রায়, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের জেলার সভাপতি আবু নাঈম খান বিপ্লব, প্রগতি লেখক সংঘের জেলার সাধারণ সম্পাদক বিমল কান্তি দাস, সমাজ অনুশীলন কেন্দ্রের সমন্বয়ক রঘু অভিজিৎ রায়, গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের জেলার সভাপতি সেলিম মাহমুদ, বাসদ ফতুল্লা থানার সমন্বয়ক এম এ মিল্টন, সুজাউদ্দিন আহম্মদ বাদল’র ছোট ভাই ইমতিয়াজউদ্দিন আহমেদ জুলু, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জেলার সভাপতি সুলতানা আক্তার, কবি রইস মুকুল, শিক্ষক আব্দুল খালেক, চারণ সংগঠক প্রদীপ কুমার সরকার, জামাল হোসেন, সেলিম আলাদিন প্রমূখ।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close