চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে ফ্রিল্যান্সারকে ভয় দেখিয়ে তিন কোটি টাকা লুট, ডিবির ৬ সদস্য বহিষ্কার

চট্টগ্রামে ফ্রিল্যান্সারকে আটকের পর মামলা ও ক্রসফায়ারের ভয় দেখানো এবং তার মোবাইল ফোন থেকে তিন কোটি টাকা সরিয়ে নেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত ডিবি পুলিশের ছয় সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সিএমপি কমিশনার (অ্যাডিশনাল আইজিপি) কৃষ্ণ পদ রায় স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এই নির্দেশনা দেওয়া হয় ।
সাময়িক বহিষ্কৃতরা হলেন, ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) রুহুল আমিন, এসআই (নিরস্ত্র) মো. আলমগীর হোসেন, এএসআই (নিরস্ত্র) মো. বাবুল মিয়া, এএসআই (নিরস্ত্র) মো. শাহ পরাণ জান্নাত, এএসআই (নিরস্ত্র) মইনুল হোসেন, কনস্টেবল মো. জাহিদুর রহমান, কনস্টেবল আব্দুর রহমান।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন গুলবাগ আবাসিক এলাকার বারাকা এন্টারপ্রাইজ নামের কুলিং কর্নারে চা পান করার সময় আবু বকর সিদ্দিক নামের ওই ফ্রিল্যান্সারকে আটক করে ডিবি পরিদর্শক মো. রুহুল আমিনের নেতৃত্বে একটি দল।
পরবর্তীতে আবু বকর সিদ্দিক অভিযোগ করেন, তার হাতের আঙুলের ছাপ নিয়ে মোবাইলের লক খুলেছিলেন পুলিশ সদস্যরা। ওই রাতে তাকে মনসুরাবাদে ডিবি হেফাজতে রাখা হয়। এ সময় তার মোবাইল থেকে দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ৫ লাখ করে ১০ লাখ টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে স্থানান্তর করা হয়। এ ছাড়া তার বাইন্যান্স অ্যাকাউন্ট থেকে ২ লাখ ৭৭ হাজার ডলার (প্রায় ৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা) স্থানান্তর করা হয়েছে।
আবু বকরকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো ও ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগে গত ৫ মার্চ ৬ পুলিশ সদস্যসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন আবু বকরের স্ত্রী হুসনুম মামুরাত লুবাবা। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।