রাজনীতিসিদ্ধিরগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জবাসী’র প্রাণের দাবী পূরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি লিটন আহমেদের কৃতজ্ঞতা
ঐতিহ্যবাহী ওসমান পরিবারের নামে তিনটি স্থাপনা নাম করন করার প্রসঙ্গে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা তাঁতী লীগের সংগ্রামী সভাপতি লিটন আহমেদ বলেন, একেএম সামসুজ্জোহা ছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহচর। দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের পর আমরা যে স্বাধীনতা পেয়েছি সেই স্বাধীনতা যুদ্ধের সংগঠক হিসেবে একেএম সামসুজ্জোহা স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত ছিলেন। তার নামে এবং তার স্ত্রী নাগিনা জোহার নামে নারায়ণগঞ্জের দুটি মহাসড়কের নামকরণ হওয়ায় ওসমান পরিবারের একজন কর্মী হিসেবে আমরা গর্বিত। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সেতু মন্ত্রীকে জানাচ্ছি প্রানঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
থানা তাঁতী লীগের সভাপতি লিটন আহমেদ আরও বলেন,নারায়ণগঞ্জের যে মহাসড়কটি সামসুজ্জোহার নামে নামকরণ করা হচ্ছে সেই সড়কটি ১৯৯৬ সাথে আওয়ামী লীগের ক্ষমতা থাকাকালীন সময়ে প্রথম কার্পেটিংয়ের কাজ করা হয়েছিল শামীম ওসমানের নেতৃত্বে। সেই সাথে শীতলক্ষ্যার তৃতীয় সেতুর নামকরণ করা হয়েছে প্রয়াত নাসিম ওসমানের নামে যিনি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর প্রতিবাদ করার জন্য বাসর রাতে তার নববধূকে রেখে নারায়ণগঞ্জ থেকে চলে গিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগে ওসমান পরিবারকে কতটা গুরুত্ব দিয়ে থাকেন সেটা আবারও প্রমাণ হলো। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সেতু মন্ত্রীকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা তাঁতী লীগের পক্ষ থেকে তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
০৪ জুন (শুক্রবার) বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা তাঁতী লীগ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সেতুমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
জানা গেছে, এবার নারায়ণগঞ্জে নির্মিত এবং নির্মাণাধীন তিনটি স্থাপনার নাম ওসমান পরিবারের সদস্যদের নামে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এই মর্মে তিনটি পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। স্থাপনা গুলোর মধ্যে রয়েছে একটি সেতু, ও দুটি আঞ্চলিক মহাসড়ক। আর এসকল বিষয়কে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে বইছে উচ্ছ্বাস। তারা নিজেদেরকে গর্ববোধ করছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও তার পরিবারের সাথে রাজনীতি করতে পেরে।
জানা যায়, স্থাপনাগুলোর মধ্যে মদনপুর-মদনগঞ্জ-সৈয়দপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে বন্দর উপজেলায় নির্মাণাধীন তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুটির নামকরণ হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম নাসিম ওসমানের নামে। তিনি জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য এবং সেই সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি এ কে এম শামীম ওসমান ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের জাতীয় পার্টির এমপি এ কে এম সেলিম ওসমানের ভাই।
তাদের বাবা স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত (মরণোত্তর) ভাষা সৈনিক এ কে এম সামসুজ্জোহার নামে নামকরণ হয়েছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সাইনবোর্ড-নারায়ণগঞ্জ মহাসড়কের সাইনবোর্ড থেকে চাষাড়া পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়কটি। আর এ কে এম সামসুজ্জোহা স্ত্রী ভাষা সৈনিক বেগম নাগিনা জোহার নামে নামকরণ হয়েছে খানপুর হয়ে হাজীগঞ্জ গোদনাইল হয়ে ইপিজেড পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়কটি।