নারায়ণগঞ্জফতুল্লারাজনীতি

গণসংহতি আন্দোলনের ফতুল্লা থানা কমিটি পুণর্গঠিত

৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ শনিবার বিকেল ৪ টায় গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়ে ফতুল্লা থানা কমিটি পুণর্গঠন করা হয়। বিদায়ী কমিটির আহ্বায়ক রাকিবুল হাসান দ্বিপুর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শুভ দেবের সঞ্চালনায় কমিটি গঠনকালে উপস্থিত ছিলেন দলের জেলা সমন্বয়ক তরিকুল সুজন এবং নির্বাহী সমন্বয়ক অঞ্জন দাস।

বর্ধিত সভা শেষে জাহিদ সুজনকে আহ্বায়ক এবং নুরুল আমিন মামুনকে সদস্য সচিব করে ৪টি পদ খালি রেখে ২১ সদস্যবিশিষ্ট ৩ মাস মেয়াদি কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়। কমিটি পরিচিতি- আহ্বায়ক: জাহিদ সুজন যুগ্ম আহ্বায়ক: আব্দুল্লা আল মামুন যুগ্ম আহ্বায়ক: মোঃ মনির হোসেন যুগ্ম আহ্বায়ক: বিশ্বজিৎ দাস সদস্য সচিব: নুরুল আমিন মামুন যুগ্ম সদস্য সচিব: শুভ দেব যুগ্ম সদস্য সচিব: মোঃ আমিনুর ইসলাম কার্যকরী সদস্য: রাকিবুল হাসান দ্বিপু, আওলাদ হোসেন, মোঃ সাদিক হাসান, মোঃ মোস্তফা অভি হাওলাদার, তৌহিদুল ইসলাম, মোঃ ফয়সাল, তরিকুল আরিফ নীল, অপু দাস, মোঃ শাহাবুদ্দীন

সভায় তরিকুল সুজন বলেন, বর্তমান রাষ্ট্রকে আওয়ামী লীগ সরকার ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। এই সরকার জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। তারা জনগণকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে রক্তের হোলি খেলতে চাচ্ছে। বিরোধী দলের সভা-মিছিলে গুলি করে মানুষ হত্যা করা শুরু করছে। রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও দলীয় গুন্ডাপান্ডা লেলিয়ে দিয়ে দেশব্যাপী চরম দমনপীড়ন নির্যাতন চালাচ্ছে। ফ্যাসিবাদ কায়েম করে গণতন্ত্রকে পাঠিয়েছে পরবাসে। এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না। তাদের সময় ফুরিয়ে এসেছে। এখন দিন গুনা বাকি। মানুষ আর তাদেরকে একমুহূর্ত দেখতে চায় না। এটা বুঝেই তারা নির্বাচনকে আটকে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বা চলমান শাসনতন্ত্রের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সবশেষ বগুড়ায় অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনের নামে প্রহসনই তার আরেকটা প্রমাণ। জনশূন্য ভোটকেন্দ্রই বলে দেয় মানুষ আর তাদের নাটকে বিশ্বাস করেনা। দেশে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে শাসনতন্ত্রের বদল ঘটাতেই হবে। এর জন্য রাজপথে জনতার ঐক্য দরকার।

অঞ্জন দাস বলেন, বর্তমান সময়ে আমাদের মূল দায়িত্বই হচ্ছে সরকার ও শাসনব্যবস্থা বদলানোর সংগ্রামকে তরান্বিত করা। এছাড়াও স্থানীয় সংকট, সমস্যা নিয়েও আমাদের কাজ করে যেতে হবে। সামনে বর্ষাকাল আসছে। সমগ্র ফতুল্লা অঞ্চলের মূল সমস্যা হচ্ছে জলাবদ্ধতা। সামান্য বৃষ্টি হলেই পুরো অঞ্চল দুইদিন পানির নিচে তলিয়ে থাকে। এই সংকট নিয়ে সেখানকার সংসদ সদস্য ভাবেন কিনা এই প্রশ্ন করার লোক নেই। যার ফলে মানুষকে দিনের পর দিন এই ভোগান্তির মধ্য দিয়েই জীবনযাপন করতে হচ্ছে৷ এছাড়াও মাদক ও কিশোর গ্যাং এই অঞ্চলের বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। গত বছরেই আমরা ফতুল্লা থানার আওতাধীন অনেকগুলো হত্যাকাণ্ডের ঘটনা দেখেছি। ভয়-আতঙ্ক মানুষের জীবনের নিত্যসঙ্গী হয়ে উঠছে। জবাবদিহিতাহীন, জনসম্মতিহীন সরকার যখন ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে রাখে তখন মানুষকে এমনভাবেই বেঁচে থাকতে হয়। আমরা পরিবর্তনের কথা বলি। আমরা বিশ্বাস করি, এই সকল অনাচারের যোগ্য জবাব জনগণ খুব দ্রুতই দিবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close