জাতীয়
বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সভাপতি দিলীপ রায়ের উপর নৃশংস পুলিশী আক্রমণ

বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, ঢাবি ফেসবুক পেজে জানানো হয়:-
বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সভাপতি দিলীপ রায়কে আজ শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের আন্দোলনে নৃশংসভাবে আক্রমণ চালানোর পর গ্রেফতার করেছে ইন্টারিম সরকারের পুলিশবাহিনী। এর আগে ২০১৬ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বরত অবস্থায় রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরুদ্ধে ফেসবুকে মতামত দেয়ায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে দিলীপ রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে ফেসবুকে ‘কটুক্তি’ করার দায়ে দিলীপ রায়কে ৩ মাস হাজতবাস করতে হয়।
শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ ও অন্যায্যভাবে ছাঁটাইয়ের বিরুদ্ধে কয়েকদিন ধরে চলমান আন্দোলনে সরকার মালিকপক্ষের হয়ে শ্রমিকদের ওপর পেটোয়া বাহিনী নামায়। আগষ্টে শ্রমিক-মজুর-রিকশাওয়ালারা শিক্ষার্থীদের সাথে একই কাতারে দাঁড়িয়ে আন্দোলনে শহীদ হন। সেপ্টেম্বরেই বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি তোলা হলে সেই শ্রমিকদের ওপর আবার যৌথবাহিনীর গুলি চলে।
গত পরশুও ১৪ মাস বেতন না পেয়ে আন্দোলনেই স্ট্রোক করে মারা যান গার্মেন্টস কর্মকর্তা রাম প্রসাদ সিং জনি। এসব হত্যার দায় রাষ্ট্রের, অন্তর্বর্তী সরকারের, উপদেষ্টাদের। মালিকপক্ষ কোটি টাকা দিয়ে হলিউডের গায়ক এনে বিদেশে বিয়ে উদযাপন করে আর শ্রমিকরা বকেয়া বেতনের দাবিতে রোজার মধ্যে রাস্তায় আন্দোলন করে; সেখানেও পুলিশের লাঠিচার্জ। হামলা-মামলা-গ্রেফতার করে আন্দোলন থামানো যায় না, ইন্টারিম। জনগণ গণভবন দখল করেছে, যমুনা দখল করতেও সময় লাগবে না।