জামালপুর
সরিষাবাড়ীতে কাকড়া গাড়ীর চাকার নিচে পড়ে প্রাণ গেল কিশোর শ্রমিকের
ইব্রাহিম শেখ : জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় শান্ত মিয়া(১৬) নামে এক কিশোর শ্রমিক নিহত হয়েছে ।
তিনি সরিষাবাড়ী উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের চরহাটবাড়ী মৃত হেলাল উদ্দিন এর ছেলে। শনিবার (৮ জুন) সকাল ১০ টায় সরিষাবাড়ীর বাউসী-ধনবাড়ী প্রধান সড়কের তালতলা ব্রীজপাড় সংলগ্ন দুদু মাঝির বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে ।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, সকালে দুইটি অবৈধ ৬ চাকার বালু ও ইট পরিবহন গাড়ি দ্রুতগতিতে চললে গাড়ির সামনে বসে থাকা হেলপার শান্ত মিয়া ছিটকে পড়ে যায়। এ সময় গাড়ির চাকার নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় শান্ত। সড়ক দুর্ঘটনার পর থেকে অবৈধ গাড়ির চালক ও অন্যান্য সহযোগীরা পলাতক রয়েছে।
এ বিষয়ে সুলতান ও রুস্তম রহমান জানান, সকাল থেকেই দিনমান এমনকি গভীর রাত পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়ই চলে কাঁকড়ার চলাচল। আরামনগর বাজার, কলেজ রোড়, জোড় ব্রিজ রোড ও শিশুয়া রোড,বালিয়া রোড, মহাদান চেরাগ আলী রোড, পিংনা মোড়, তারাকান্দি রোড, ডোয়াইল বাজার রোড,মহাদান ফয়েজের মোড় সহ উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের গ্রাম শহরে কাঁকড়ার বেপরোয়া চলাচলে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন পথচারী ও অন্যান্য যানবাহনের চালকরা। এর উপর প্রতিদিন এই রোড গুলোতে ৮/১০টি কাঁকড়া চলাচল করার কারণে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যানজট লেগে থাকছে। এছাড়া কাঁকড়ার বিকট শব্দে ওই এলাকার বাসিন্দাদের জীবনযাত্রা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
এ ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় প্রভাবশালী মহলের ক্রয়কৃত এসব কাঁকড়া জমি,নদী ও বিল থেকে মাটি কেটে বিভিন্ন ইটভাটা এবং বিভিন্ন মানুষের কাছে বহন করা হচ্ছে । এতে করে যেমন নিচু হচ্ছে জমি, অপরদিকে ভেঙ্গে যাচ্ছে গ্রাম-শহর যোগাযোগের রাস্তাঘাট। নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। অকালে নিভে যাচ্ছে তাঁজা প্রাণ।
তাদের অভিযোগ, দানব পরিবহন কাঁকড়া গাড়ির মালিকরা স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে রাস্তার রাজা হিসেবে নির্বিকারে গাড়ী চালিয়ে আসছে। ফলে এসব গাড়ি থেকে রাস্তা-ঘাট রক্ষা কিংবা প্রাণ রক্ষা করা সম্ভব নয়। সরিষাবাড়ীতে থেকে এ কাকড়া গুলো বন্ধের দাবী জানাই।
সরিষাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক মুর্শিদ আলম জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত দেহ উদ্ধার করি। মৃত দেহ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শনিবার দুপুরে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মুশফিকুর রহমান এর মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে নাম্বারটি কেটে দেওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।