চট্টগ্রাম
কোনো আলোচনাতেই নেই চবি শিক্ষক সমিতির নতুন কার্যকরী কমিটি গঠনের নির্বাচনী ইশতেহার!

জানুয়ারি ৩০, ২০২৪— চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণায় বিলম্বের শিকার হয়ে অতি সত্তর ইশতেহার ঘোষণার দাবী উত্থাপন করে চিঠি পেশ করেছেন একই সমিতির কতিপয় শিক্ষক।
চিঠিটি নীচে প্রদান করা হলো :
২৪ জানুয়ারী, ২০২৪ইং
বরাবর
সভাপতি,
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি কার্যকরী পরিষদ, ২০২৩, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
বিষয় : শিক্ষক সমিতি কার্যকরী পরিষদের মেয়াদান্তে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে।
জনাব,
আসসালামু আলাইকুম।
আপনি নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি কার্যকরী পরিষদ-২০২৩ খুব শীগগিরই একবছরের মেয়াদ পূর্তি করতে যাচ্ছে। গত বছর ৮ ফেব্রুয়ারী তারিখে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সে মোতাবেক এবছর ৭ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে নির্দিষ্ট মেয়াদান্তে নতুন কার্যকরী পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠানের গঠনতান্ত্রিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আমরা অতীব দুঃখের সাথে লক্ষ্য করছি যে বর্তমান কার্যকরী পরিষদের পক্ষ থেকে আসন্ন নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে এখন পর্যন্ত নির্বাহী কমিটির সভায় বিষয়টি আলোচনা হয়নি এবং এ লক্ষ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়নি। বিধি মোতাবেক নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ২১ দিন সময় দিয়ে তফশিল ঘোষণা করতে হয়। সে অনুযায়ী তার আগে কমিশন গঠনের প্রয়োজনীয়তা ছিল। আমরা কার্যকরী পরিষদের সদস্যবৃন্দ যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দের মূল্যবান ভোটে নির্বাচিত, সেক্ষেত্রে যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্বের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের বিষয়েও আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে।
উপরোক্ত বিষয়ের আলোকে আপনার কাছে বিনীত অনুরোধ, শিক্ষক সমিতির ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখার স্বার্থে অতি দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন গঠন করে নিজেদের দায়বদ্ধতা রক্ষায় সচেষ্ট থাকবেন।
আপনার সার্বিক মঙ্গল কামনা করি।
আপনার বিশ্বস্ত,
অধ্যাপক ড. রকিবা নবী
অধ্যাপক ড. মোঃ দানেশ মিয়া
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরিদুল আলম
—
গত ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ইং (বুধবার) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কতিপয় সদস্যের পক্ষ হতে সমিতির সভাপতির বরাবরে এই চিঠি প্রদান করা হয়। গত বছর (২০২৩) এর ৮ই ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু এবছর কার্যকরী কমিটি গঠনের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ২১ দিনের তফসিল ঘোষণার ব্যাপারে সিদ্ধান্তের অভাব দেখা দিয়েছে বলে সভাপতি বরাবর চিঠি পেশ করেছেন অধ্যাপক ড. রকিবা নবী, অধ্যাপক ড. দানেশ মিয়া ও অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরিদুল আলম প্রমুখ।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে চবি শিক্ষক সমিতির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সদস্য প্রতিবেদককে বলেন, “চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে আমি শিক্ষক সমিতির একজন সাধারণ সদস্য। সমিতির একজন সাধারণ সদস্য হিসেবে আমি সমিতির সর্বাঙ্গীন সফলতা কামনা করি। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, শিক্ষক সমিতির কার্যকরী পরিষদ ২০২৩ আগামী ফেব্রুয়ারীর ৭ তারিখে একবছর পূর্ণ করছে। এছাড়াও, ৮ তারিখে নতুন কমিটির জন্যে নির্বাচন করতে হলে ২১ দিন পূর্বে তফসিল ঘোষণা করতে হয়, যা বর্তমান কমিটি দ্বারা করা হয়নি। তাই বিগত ২৪/০১/২০২৪ ইং তারিখে শিক্ষক সমিতির সভাপতির বরাবরে শিক্ষক সমিতির কতিপয় সদস্য কর্তৃক প্রেরিত উপরোক্ত বিবৃতির সাথে একাত্মতা পোষণ করছি।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক আরো জানান, “চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক ও চবি শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক ড. আদনান মান্নান কর্মব্যস্ততা ও অন্যান্য যোগসূত্রতার কারণ দেখিয়ে ইতোমধ্যে তাঁর দায়িত্ব পালনে অপারগতা জানিয়েছেন।”
এমতাবস্থায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষক সমিতি নতুন কমিটি গঠনে ব্যবস্থা নিতে বিলম্ব করছেন বলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচন এবং নতুন কমিটি গঠনে ইচ্ছুক সেই কতিপয় শিক্ষকমণ্ডলী।