লেখা-পড়া

নতুন বই পেয়ে শিক্ষার্থীদের বাঁধভাঙা উল্লাস

নতুন বছর, নতুন বই। মহামারি ছাপিয়ে দেশে এবার বর্ষবরণের আনন্দ একেবারেই আলাদা। নয় মাস পর অনেক শিক্ষার্থী এসেছে স্কুল প্রাঙ্গণে। তাই আবেগটা ছিল একটু বেশিই। শিক্ষকরাও অনেকদিন পর ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে পেয়ে খুশি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সারা দেশে সব স্কুলে বই দেওয়া হয়েছে আজ শুক্রবার (০১ জানুয়ারি)

বছরের প্রথম দিনের সেরা উপহার। তাইতো উচ্ছ্বাসে নেই কোনো কমতি। বরং নতুন বই হাতে পেয়ে বাঁধভাঙা উল্লাসে ভাসে কচিকাচার দল। নতুন বইয়ের নতুন ঘ্রাণ সাথে দীর্ঘ ঘরবন্দি জীবনের একঘেয়েমি থেকে কিছুটা মুক্তি। পাশাপাশি প্রিয় বন্ধুর সহচার্য আনন্দ বাড়িয়েছে বহুগুণ।

এক শিক্ষার্থী বলে, আমার নতুন বই পড়তে অনেক ভালো লাগে। নতুন বই পাওয়া আগ্রহে ছিলাম এতদিন। অবশেষে আজ হাতে পেলাম। এখন দারুণ খুশি লাগছে।

শুক্রবার (০১ জানুয়ারি) শীতের মিষ্টি সকালে রাজধানীর বিভিন্ন স্কুলে শুরু হয় বই বিতরণের এই আয়োজন। দীর্ঘ বিরতির পর শিক্ষাঙ্গনে শিশুদের উচ্ছ্বাস ছুঁয়ে গেছে অভিভাবক ও শিক্ষকদের হৃদয়ও। এক অভিভাবক বলেন, করোনা পরিস্থিতি একটু ভালো হলে স্কুল খুলবে। সেই প্রত্যাশায় রয়েছি।

তবে কোথাও কোথাও করোনার বেড়াজালে বই বিতরণের আয়োজনে ছিল বেশ বিধি-নিষেধ। স্বাস্থ্য সুরক্ষাকে প্রাধান্য দিয়ে বই তুলে দেওয়া হয় অভিভাবকদের হাতে।

মহামারির মধ্যে বই তুলে দিতে পারার সন্তুষ্টি থাকলেও অভিভাবক ও শিক্ষকদের মনে ছিল চাপা কষ্ট। প্রিয় শিক্ষার্থীদের কাছে পেতে উদগ্রীব ছিলেন শিক্ষকরা।এক শিক্ষক জানান, শিক্ষার্থীরা বাড়িতে থেকে বাবা-মায়ের কথা মতো চলাফেরা করুক। এবং নতুন বইগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ুক। তাদের কাছে এই প্রত্যাশা।
তবে অনেক অভিভাবকই হেরে যান সন্তানের বায়নার কাছে। বিধি-নিষেধ মেনে সন্তানকে স্কুল করিডোরের বাইরে রেখে বই নিয়ে তা তুলে দেন প্রিয় সন্তানের হাতে।

চলতি বছর ৩৫ কোটিরও বেশি বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিচ্ছে সরকার।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close