জাতীয়রাজনীতিরাজশাহী বিভাগ
ফোঁস করার আগেই জামায়াত-শিবিরের গলা কেটে দিতে হবে: মেয়র লিটন
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, ‘আমি ছাত্রলীগ ভাইদের বারবার বলছি, হুঁশিয়ার করছি, সাবধান থাকতে বলছি, আজকে জামায়াত-শিবির নাই, মানে প্রকাশ্যে নাই। কিন্তু তারা তো আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের হলেই আছে বা পাশেই মেহেরচন্ডিতে আছে, বিনোদপুর, শ্যামপুর এসবের মধ্যেই তো আছে। পালিয়ে যায়নি। হারিয়ে যায়নি। আপাতত স্লোগান দিচ্ছে না। মিছিল করছে না। ক্লাস করছে, চলে যাচ্ছে। একটি সুযোগ যদি তারা পায়, আবার কিন্তু সাপের মতো ফোঁস দিয়ে উঠবে। এই ফোঁস দেয়ার সুযোগ যাতে কোনো দিন না পারে, ফোঁস দেয়ার আগে গলাটা কেটে পার করে দিতে হবে।’
সোমবার বিকেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সাবাস বাংলাদেশ’ চত্বরে অনুষ্ঠিত ‘সম্মিলিত হল’ সম্মেলনের প্রধান অথিতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় রাবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বরজোহান আলী ও সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান খান নাহিদের সঞ্চালনায় মেয়র আরও বলেন, ‘আমরা খালেদা জিয়ার মতো ভিত্তিপ্রস্তরের রাজনীতি করি না। আমরা যেমন ভিত্তিপ্রস্তর দেই, তেমন সেটা আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচনও করি। এই বাংলাদেশে যদি আর কয়েকটা বছর, ৫-১০ বছর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা ধরে রাখতে পারি, ইনশাল্লাহ এই বাংলাদেশকে আর কখনো পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না। আমরা ধনী রাষ্ট্রে পরিণত হব। যে ধনী রাষ্ট্রে আমাদের তরুণ ছেলে-মেয়েরা ঘরে বসেই আয় করতে পারবে।’
অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের রক্তে রঞ্জিত একটি ময়দান। যার প্রতিটি কোণে কোণে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির অস্ত্রের আঘাতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের রক্ত ঝড়েছে। ফলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ত্যাগ আমাদের সর্বদা অনুপ্রেরণা জুগিয়ে থাকে। তাই স্বাধীনতা বিরোধী জামাত-শিবির মুক্ত একটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে নতুন নেত্ববৃন্দসহ সকলকে এক হয়ে কাজ করার মাধ্যমে দেশনেত্রী শেখ হাসিনা হাত শক্তিশালী করতে হবে।’
সম্মেলন অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- ডাক, টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল সরকার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামাল, আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য ডা. আনিকা ফারিয়া জামান অর্ণা, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, সহ-সভাপতি খালিদ হাসান নয়ন, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ হীল বারী, সহ-সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সাদ্দাম, প্রদীপ কামুর সাহা পিংকু, আহসান হাবীব বাপ্পী, আফি আজাদ বান্টি, মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান তাপস প্রমুখ।