আইন ও অধিকারনারায়ণগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতিকে প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনা প্রদান
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি বরাবর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ‘আইনজীবী প্রণোদনা চেক’ হস্তান্তর করা হয়েছে। এসময় বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্যদের সংবার্ধনা প্রদান করা হয়।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে বার ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই চেক হস্তান্তর ও সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি হাসান ফেরদৌস জুয়েলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- এটর্নী জেনারেল ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এড. এ এম আমিন উদ্দিন এবং আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. গোলাম সারোয়ার।
অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দরা। পরে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্যদের সংবার্ধনা প্রদান করা হয়।
যাদের সংবার্ধনা প্রদান করা হয়- এক্সিকিউটিভ কমিটি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এড. সৈয়দ রেজাউর রহমান, লিগ্যাল এডুকেশন কমিটির চেয়ারম্যান এড. কাজী মো. নজিবুল্লাহ হিরু, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল, হিউম্যান রাইটস ও লিগ্যাল এইড কমিটি এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এড. মো. মোখলেচুর রহমান বাদল , বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য এড. মো. রবিউল আলম বুদু, এড. মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ রাজা ও এড. আব্দুল বাতেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামীম ওসমান বলেন- গতবার নারায়ণগঞ্জ বার ইলেকশনেও একটা কাউন্টার কমিটি দিয়েছিল। এতে আমাদের লাভ হয়েছিল। তবে আওয়ামী লীগের প্যানেল অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে জয়ী হয়েছিল। আগে শত বছরে একটা মোশতাক জন্ম নিত, আর এখন জেলায় জেলায় বছরের পর বছর মোশতাক সৃষ্টি হয়। পার্লামেন্টে সেদিন সিনিয়র এমপিরা বলছিলেন পদ্মা সেতু হয়েছে, চারিদিকে জয় জয়কার। সেদিন আমি বলেছি যে লোক দেশকে স্বাধীনতা দিয়েছে আমরা সাড়ে তিন বছরের মাথায় সেই লোককে হত্যা করেছি এবং মোশতাকের পার্লামেন্টে যোগ দিয়েছি। পদ্মা সেতুতে ৪২টি পিলার। তবে বাংলাদেশের একটা পিলার, সেটা হচ্ছে শেখ হাসিনা।
বিশেষ অতিথি এটর্নী জেনারেল আমিনউদ্দিন বলেন- আমরা আইনজীবীরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে যখনই যা চেয়েছে, তা পেয়েছি। আগামীতে ওনার বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হবে, তাই সকলকে আমি প্রস্তত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। আমি নারায়ণগঞ্জের আইনজীবীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। একই সাথে আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি তার প্রতি যিনি আইনজীবীদের পাশে সবসময় থাকেন, তিনি আর কেউ নয় আমাদের সকলের অত্যন্ত প্রিয় ব্যক্তিত্ব শামীম ওসমান।
আরেক বিশেষ অতিথি সবিচ গোলাম সারোয়ার বলেন, দেশের বিচার বিভাগ সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে হলে বিচার বিভাগের পাশাপাশি আইনজীবীদেরও বিশেষ ভুমিকা আছে। নারায়ণগঞ্জের আইজীবীরা সেই ভুমিকা খুব সুন্দর ভাবে পালন করেন। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আইনজীবীদের বিভিন্ন দাবী-দাওয়ার প্রতি আত্তন্ত সহনভুতিশীল এবং তাই মাননয়ি প্রদানমন্ত্রীর প্রতি আমরা অত্তন্ত কৃতজ্ঞ।
অনুষ্ঠানের শেষে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের হাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ‘আইনজীবী প্রণোদনা চেক’ হস্তান্তর করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রবিউল আমীন রনির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ মুন্সি মো. মশিয়ার রহমান, বিচারক নাজমুল হক শ্যামল, নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা ফেরদৌস ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদন্নতি প্রাপ্ত) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট আলাউদ্দিন আহমেদ, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস বিশ্বাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক মমিন, কোষাধ্যক্ষ অ্যাডভোকেট আবুল বাশার রুবেল, আপ্যায়ন সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. স্বপন ভূঁইয়া, লাইব্রেরি সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাছিব উল হাছান রনি, ক্রীড়া সম্পাদক অ্যাডভোকেট সোহেল আজাদ, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাজিয়া আমিন কাঞ্চি, সমাজসেবা সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. রাশেদ ভূঁইয়া, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান, কার্যকরী সদস্য অ্যাডভোকেট এরশাদুজ্জামান ইমন, অ্যাডভোকেট হালিমা আক্তার, অ্যাডভোকেট হোসেন আহম্মদ, অ্যাডভোকেট মেরাজ সরকার ও অ্যাডভোকেট অঞ্জন দাস।