জাতীয়

বিমা খাতকে আমরা ডিজিটালাইজেশন করতে চাই: আইডিআরএ চেয়ারম্যান

গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষার মাধ্যমে বিমার প্রতি মানুষের আস্থা ফেরানো বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) প্রধান লক্ষ্য হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির নতুন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জয়নুল বারী।

তিনি বলেন, ব্যাংকে আপনি আজকে টাকা জমা দিলে আপনি বুঝেন আপনার টাকা জমা হয়েছে। আপনি এসএমএস পান, ব্যাংক স্টেটমেন্ট নিয়ে দেখতে পারেন। অনলাইনে আপনি দেখতে পারেন আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের কী অবস্থা। বিমা খাতকেও আমরা এরকম ডিজিটাল করতে চাই। এ কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) আইডিআরএ কার্যালয়ে ইনস্যুরেন্স রিপোর্টার্স ফোরামের (আইআরএফ) সদস্যদের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এসব কথা বলেন। আইডিআরএ’র সদস্য মো. দলিল উদ্দিন, নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র এস এম শাকিল আখতার, আইআরএফ সভাপতি গোলাম মওলা, সাবেক সভাপতি গোলাম সামদানী, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাসুদ মিয়া এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এসময় আরআরডিএম চেয়ারম্যান বলেন, আমরা বিমা খাতকে ডিজিটাল করব। এখন পর্যন্ত এর কাজটা শুরুর মধ্যেই সীমিত আছে। তবে আমরা চাইব ব্যাংকিং সিস্টেমের মতো একটি অনলাইন সিস্টেমের দিকে যেতে।

মোহাম্মদ জয়নুল বারী বলেন, ‘পলিসিহোল্ডারদের (গ্রাহক) স্বার্থ দেখা আমার প্রথম কাজ। এর মাধ্যমে আস্থা ফিরে আসবে। মানুষ যদি বিমা করে তার সুফলটা পায়, তাহলে একজনের দেখাদেখি আরও ১০ জন আসবে। আর একজন যদি প্রতারিত হয় বা বঞ্চিত হয়, তাহলে সেটি আরও ১০ জনকে নিরুৎসাহিত করবে। সে কারণে তাদের (গ্রাহক) স্বার্থ আমাদের দেখতে হবে এবং তাদের বোঝাতে হবে আমরা তাদের স্বার্থ দেখছি। সে জন্য আমরা দৃশ্যমান কিছু ব্যবস্থা নেব। এর একটি হবে ডিজিটালাইজেশন।’

আইডিআরএ‘র চেয়ারম্যান আরও বলেন, এখানে (বিমা খাত) ইমেজ সংকট আছে এবং আস্থার অভাব আছে। আস্থার অভাব থাকলে মানুষ এই খাতে আসবে না। সরকার এই খাতের উন্নয়নের জন্য আইডিআরএ করেছে। এই খাতের উন্নয়নের জন্য কী কী করতে হবে, আমাদের বিমা উন্নয়ন পলিসিটা কী— সেগুলো আমরা দেখছি। আমরা কী কী করেছি আর কী কী করা দরকার— সবই আমরা খতিয়ে দেখছি।

তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যাশা— আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে তিন বছর মেয়াদি একটি পরিকল্পনা করা সম্ভব হবে। এর মধ্যে বিভিন্ন মেয়াদের কাজ থাকবে। কোনোটা করতে এক মাস, কোনোটা করতে ছয় মাস, আবার কোনোটা করতে এক বছর সময় লাগবে। এ রকম পরিকল্পনার উদ্যোগ নিয়েছি।

বিমা খাতের কমপ্লায়েন্সের প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান বলেন, কমপ্লায়েন্সের একটি বিষয় আছে। আনেক কিছু আমরা করেছি, কিন্তু কমপ্লায়েন্স নেই। সেগুলো আমরা পর্যায়ক্রমে কমপ্লায়েন্সের মধ্যে নিয়ে আসব। সেটি করা হবে সবাইকে নিয়ে, যারা আমাদের মেইন স্টেকহোল্ডার আছেন। নিয়ন্ত্রণ মানে এই না যে আমরা সবকিছু চাপিয়ে দেবো। সবাইকে নিয়ে সবার সমস্যা, সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে আমরা কাজ করব। তবে আমাদের অগ্রাধিকার থাকবে মানুষের স্বার্থ এবং এই খাতের উন্নয়ন।

জয়নুল বারী বলেন, নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে যেন উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত না হয়, সেটি আমাদের দেখতে হবে। একটি প্রাইভেট খাত তো প্রফিটের জন্য কাজ করে। প্রাইভেট খাত ও গভর্নমেন্টের উদ্দেশ্য এক থাকে না। সুতরাং প্রাইভেট খাতের বিষয়টিও আমাদের দেখতে হবে। সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে, সবার মতামত নিয়েই আমরা কজ করব।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close