নারায়ণগঞ্জবন্দরসারাদেশ

মাসুম চেয়ারম্যানের আমন্ত্রনে ধামগড় ইউপি সাংসদ সেলিম ওসমানের আগমনে ব্যাপক প্রস্তুতি

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ

নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন।যে ইউনিয়নের পরপর চারটি ইউনিয়নের চারজন চেয়াম্যান দু’দুইবার করে নির্বাচিত। শুধু ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান আলহাজ্ব মাসুম আহম্মেদ চেয়ারম্যান একবার নির্বাচিত। যাদের প্রত্যেকেরই রয়েছে আকাশ ছোয়া জনসমর্থন। এলাকার রাস্তাঘাট, স্কুল- কলেজ, মসজিদ,মন্দির,মাদ্রাসা, কবরস্থান উন্নয়ন থেকে শুরু করে জনগনের দারপ্রান্তে সার্বক্ষনিক বিচরন করতে সক্ষম হয়েছেন পাঁচ ইউনিয়নের পাঁচ চেয়ারম্যান। যারা প্রত্যেকেই তাদের স্ব- স্ব কাজের মাধ্যমে নারায়নগঞ্জ পাঁচ আসনের সাংসদের মন জয় করে নিয়েছেন। মাননীয় সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এ কে এম সেলিম ওসমান প্রত্যেক চেয়ারম্যানের কাজে সন্তুষ্টি হয়ে নিজের সন্তান হিসেবে বুকের মাঝে স্থান দিয়েছেন। জনগনের উদ্দেশ্যে ঘোষনাও করেছেন পাঁচ ইউনিয়নের পাঁচ চেয়ারম্যানই আমার সন্তান সমতুল্য। তাইতো ভালোবেসে মুগ্ধ হয়ে তাদের প্রত্যেককে দিয়ে বন্দর উপজেলাকে একটি আধুনিক উন্নয়নে রুপদান করতে আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের আলহাজ্ব দেলোয়ার হোসেন চেয়ারম্যান, বন্দর ইউপি আলহাজ্ব মোঃ এহসান উদ্দিন মিয়া,মুছাপুর ইউপি আলহাজ্ব মাকসুদুর রহমান মাকসুদ চেয়ারম্যান,ধামগড় ইউপি আলহাজ্ব মাসুম আহম্মেদ চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে মদনপুর ইউপি আলহাজ্ব গাজ্বী এম এ সালাম পর্যন্ত প্রত্যকের উপর রয়েছে জনগনের আস্থা। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে নিজ নিজ এলাকার সন্ত্রাস,চাঁদাবাজ,মাদক, ইভটিজিং থেকে শুরু করে বাল্যবিবাহ পর্যন্ত সকল অবৈধ কার্যকলাপ দূর করতে সক্ষম হয়েছেন।দেশের অন্যান্য উপজেলার মত বন্দর উপজেলায় নেই কোন রাজনৈতিক হানাহানি। নেই কোন পক্ষ প্রতিপক্ষের রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি। এ সকল কারনে মাননীয় সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এ কে এম সেলিম ওসমান সরকারী ও ব্যাক্তিগতভাবে শত কোটি টাকার উন্নয়নের কাজ দিয়ে বন্দর উপজেলার প্রতিটি এলাকা উন্নয়ন করে যাচ্ছেন। সেই সাথে বর্তমান চেয়ারম্যানদের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ প্রান্তে বিধায় আসছে ইউপি নির্বাচন সন্নিকটে। তাইতো মাননীয় সাংসদের অসমাপ্ত উন্নয়নের কাজগুলো আবারো সন্তান সমতুল্য পাঁচ চেয়ারম্যানকে দিয়েই সম্পুন্ন করতে চান। সে কারনে সকল দলের নেতৃবৃন্দের নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে আবারো যাতে পাঁচ ইউনিয়নের পাঁচ সন্তান পুনরায় নির্বাচিত হতে পারে সে বিষয়ে উপজেলা আওয়ামিলীগ সভাপতি ও চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম এ রশিদ সহ মহাজোটের নেতৃবৃন্দের প্রতি অনুরোধ জানান। সেই সুবাধে আগামী ১৯শে ফেব্রুয়ারী শুক্রবার ইউপির পাঁচ সন্তানতুল্য পঞ্চম সন্তান ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাসুম চেয়ারম্যানের আমন্ত্রণে গকুল দাসেরবাগ মাদ্রাসায় আসছেন সাংসদ আলহাজ্ব এ কে এম সেলিম ওসমান সহ নারায়নগঞ্জের আওয়ামিলীগ ও জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ। সেদিন হয়তো ঘোষনা আসতে পারে আবারো আলহাজ্ব মাসুম আহম্মেদ চেয়ারম্যানকে নির্বাচিত করার। আর এ মহান জননেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এ কে এম সেলিম ওসমানের আগম উপলক্ষে ধামগড় ইউপি মাসুম আহম্মেদ চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে চলছে ব্যাপক প্রস্তূতি। যেখানে সুবিশাল তোড়ন তৈরী করার পাশাপাশি থাকবে বিশ হাজার লোকের বসার মত প্যান্ডেল। নেতৃবৃন্দের বসার জন্য বিশাল আকৃতির মঞ্চ। সেই সাথে দানবীর সাংসদকে মদনপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য তিন হাজার হোন্ডা বহর। থাকবে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার বলয়। সাংসদের আগমন উপলক্ষে পোস্টার,ব্যানার,লিফলেটে প্রতিটি মহল্লা কানায় কানায় ছেয়ে গেছে। এলাকায় চলছে সাংসদ সেলিম ওসমানের আগমন উপলক্ষে সাজ সাজ রব। আনন্দে ভাসছে চায়ের কাপে চুমুক দেয়া ধামগড় ইউপির সাধারন জনগন। তাদের আনন্দের বিষয়ে জানতে গিয়ে একটি কথাই পাওয়া যায়। তা হলো আবারো আমাদের প্রিয় মানুষ আলহাজ্ব মাসুম আহম্মেদ ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। তবে অনেকেই আবার বিপক্ষে মতামত ও দিচ্ছেন। তাদের অনেকেই আক্ষেপ করে বলেন আমরা একটি সুষ্ঠ ও গ্রহনযোগ্য ইউপি নির্বাচন চাই। যেখানে জনগনের পছন্দের ভোটাধিকারের মাধ্যমে একজন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবে। এভাবে একতরফাভাবে কারো নাম উল্লেখ করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত ঘোষনা করা মোটেও ঠিক নয় বলে মন্তব্য করেন। অনেকেই আবার সাংসদ সেলিম ওসমানের অসমাপ্ত কাজের উন্নয়ন করতে সাংসদ আলহাজ্ব এ কে সেলিম ওসমান কর্তৃক ঘোষিত পূর্বের চেয়ারম্যানই পূনরায় ক্ষমতায় আশার মনোভাব ব্যাক্ত করেন। এমনকি আলহাজ্ব মাসুম আহম্মেদ চেয়ারম্যানকে যেন নৌকা প্রতীক দেয়া হয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close