নারায়ণগঞ্জনির্বাচনী হালচালরাজনীতি
প্রশাসনের টার্গেট ছিল যেভাবেই হোক নৌকাকে বিজয়ী করাতে হবে : তৈমূর আলম খন্দকার
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের পরাজিত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জনসাধারণের ভূমিকা সারা বাংলাদেশে আলোচিত হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের মানুষ শেষ পর্যন্ত নির্বাচন করে এসেছে। আমার নেতাকর্মীদের ওপর অনেক অত্যাচার হয়েছে। অনেককে ধরে নিয়ে গেছে, বাড়িতে তল্লাশি করেছে। সবাই টার্গেটের মুখে ছিল।
শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে শহরের মাসদাইর এলাকার মজলুম মিলনায়তনে নির্বাচন পরবর্তী নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নেওয়া ও তার ভাই শাব্বির আলম খন্দকারের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পুলিশ প্রশাসনের টার্গেট ছিল যেভাবেই হোক নৌকাকে বিজয়ী করাতে হবে। বলা হয়ে থাকে ‘হ্যাট্রিক করেছে’। এটা প্রধানমন্ত্রীর হ্যাট্রিক। প্রধানমন্ত্রীর নিজ হস্তক্ষেপে এ নির্বাচনটা হয়েছে। হাতি মার্কায় প্রচুর মানুষ ভোট দিয়েছে। এখনো নারায়ণগঞ্জের মানুষ হাতি মার্কার পক্ষে আছে।
তৈমূর বলেন, বারবার উন্নয়নের কথা বলা হয়। সরকার বলে উন্নয়নের জোয়ারে দেশ ভেসে যাচ্ছে। কিন্তু কোথাও সুশাসন নেই। সুশাসন ছাড়া উন্নয়ন সবার কাজে আসে না। শুধুমাত্র একটা শ্রেণি সে উন্নয়ন ভোগ করে থাকে।
অ্যাডভোকেট তৈমূর বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন শুধুমাত্র লোক দেখানো উন্নয়ন। একটা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এ উন্নয়ন হচ্ছে। দু-একজন লোক এ সুবিধা ভোগ করে নিচ্ছে। নানা কাহিনিও আছে। এগুলো সময় করে একদিন বলবো। আমার কাছে সব প্রমাণ রয়েছে।
বিএনপির প্রবীণ নেতা জামাল উদ্দিন কালুর সভাপতিত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল, জেলা বিএনপির সদস্য কাজী নজরুল ইসলাম টিটু, ফতুল্লা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার মনিরুল ইসলামসহ অন্যান্য নেতারা।