আইন ও অধিকারজেলা/উপজেলাঢাকাঢাকা বিভাগসারাদেশ
ডাকাতির প্রস্তুতিকালে মনির হোসেন বাবু আটক

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ঢাকা রাজধানীর পল্লবী থানায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে মনির হোসেন বাবু নামে এক ডাকাতকে আটক করেন পুলিশ। আটককৃতদের আসামি করে থানায় মামলা করা হয়। নিম্নে মামলার বিবরণ তুলে ধরা হলো, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট, ঢাকা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২২ এপ্রিল ০৩ ঘটিকায় সূত্র: ডিএমপি এর পল্লবী থানার এফ আই আর নং-৫৯/২০৮, তারিখ- ২২ মার্চ ২০২১ সময় ০.৩ ঘটিকা। ধারা-৩৯৯/৪০২ পেনাল কোড-১৮৬০)
যথাবিহীত সম্মান পূর্বক বিনীত নিবেদন এ যে, আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারী (মোহাম্মদ মোরশেদ আলম), বিপি-৮৫১৩১৪৮৫৭৪. সাব-ইন্সপেক্টর(নিরস্ত্র) সূত্রে উল্লেখিত মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামী whakil মনির (হাসেন বাবু (৩৪), পিতা মৃত আবুল কাশেম মাতা মরিয়ম বেগম স্থায়ী ব্লক-এ, রোড-১৭, বাসা-১৮, গ্রাম-সেকশন-১১, উপজেলা/থানা পল্লবী, ঢাকা,
আসামী কোর্টে প্রেরণ করছি। বর্ণিত মামলার বাদী এসআই (নিঃ) তাপস কুমার কুন্ডু সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স সহ পল্লবী থানার হোন্ডা/ পিকেট সিসি নং-৮১১ এবং জিডি নং-১৯৮৭, তারিখ-২১/০৩/২০২১ খ্রিঃ মূলে পল্লবী থানা এলাকায় ছিনতাই প্রতিরোধ-৭৩ কলসাইনে ডিউটি করাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করেন।
জানা যায়, গত ২১/০৩/২০২১ ২১০৫ ঘটিকায় পল্লবী থানাধীন সেকশন-১২, ব্লক.ডি. সিরামিক রোডস্থ, সরকারী বঙ্গবন্ধু কলেজের পশ্চিম পাশে কাঁচা রাস্তার উপর হতে উক্ত আসামীদেরকে সন্দেহজনকভাবে অবস্থান করে কোন একটি ধর্তব্য অপরাধ করার নিমিত্তে শলাপরামর্শরত অবস্থায় আটক করেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাক্ষী সহ আরো সাক্ষীদের মোকাবেলায় ধৃত আসামীদের দেহ তল্লাশী কালে ধৃত আসামী,মোঃ শরিফ,(আরিফ (৯ ডাশা (২০) এর দেহ তল্লাশি করে আসামীর পরিহিত প্যান্টের কোমড়ের পিছনে পেপার কাগজ দ্বারা মোড়ানো গোজা অবস্থায় একটি প্লাস্টিকের বাটযুক্ত ধারালো স্টীলের চাপাতি পাওয়া যায়।
আরও জানা যায়, যা লম্বা ১২ ইঞ্চি, ধৃত আসামী,মোঃ রিয়াজ (২০) এর দেহ তল্লাশি করে আসামীর পরিহিত প্যান্টের কোমড়ের পিছনে পেপার কাগজ দ্বারা মোড়ানো গোঁজা অবস্থায় একটি লোহার বাটযুক্ত ধারালো লোহার চাকু যা লম্বা ১২.৫ ইঞ্চি, ধৃত আসামী,মোঃ হারুন (১৮) এর দেহ তল্লাশি করে আসামীর পরিহিত প্যান্টের পিছনের বাম পাশের পকেটে রক্ষিত একটি কাঠ ও স্টীলের বাটযুক্ত স্টীলের সুইচ গেয়ার চাকু।
যা লম্বা উকুর পূর্বক গত ২১০৩ ২০২১ খ্রিঃ ২১.৩০ ঘটিকার সময় বৈদ্যুতিক আলোতে জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করে এবং জব্দ তালিকায় সাক্ষীদের স্বাক্ষর গ্রহণ করে। বাদী উপস্থিত স্বাক্ষীদের মোকাবেলায় ধৃত আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে তারা উপরোক্ত নাম ও ঠিকানা প্রকাশ করে এবং উদ্ধাকৃত মালামাল সম্পর্কে জানায়।
সূত্রে জানা গেছে,আসামীদের উক্ত নির্জন স্থানে সমবেত হওয়ার কারন জিজ্ঞাসা করলে তারা অত্র এলাকায় ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে সমবেত হয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি গ্রহন করতেছিল বলে স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সময় উক্ত গ্রেফতারকৃত আসামীরা বলে জানায়।
মনির হোসেন বাবু (৩৪) ঘটনাস্থলের আশেপাশে অবস্থান গুরুত্বপূর্ন বাছাই করা হচ্ছে। তথ্য যাচাইয়ান্তে পরবর্তীতে রিমান্ডের প্রয়োজন হতে পারে। উক্ত সন্ধিগ্ধ গ্রেফতারকৃত মনির হোসেন বাবু জামিনে মুক্তি পেলে চিরতরে পলাতক হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বিধায়,মামলার কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত উক্ত সন্ধিগ্ধ গ্রেফতারকৃত আসামী,মনির হোসেন বাবু (৩৪) কে জেল হাজতে আটক রাখা প্রয়োজন।
জানা যায়,আমি আসামীর জামিনের ঘোর বিরোধিতা করছি। কারন মনির হোসেন বাবু ডাকাতি করতে গিয়ে ধরা খেয়েছে। ওর নামে পল্লবী থানায় মামলা হয়েছে। এর আগে ডিবি হাতে অস্ত্রসহ সহ গ্রেফতার হয় যা ভাষানটেক থানায় মামলা নং ৪ তারিখ-১৩/৮/২০২০
অস্ত্র মামলায় জামিনে বের হয়ে পুনরায় আবারও ডাকাতি করার প্রস্তুতিকালে পুলিশের হাতে আটক হয়।
এলাকাবাসী ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, পল্লবী থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বাতেন। তার ভাতিজা আটককৃত ডাকাত মনির হোসেন বাবুকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা ও কুকর্মে উৎসাহ দিয়ে আসছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এমনকি যুবদলের মামুন ও শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন,জামিল,শাহাদাত,ইবাহিম এর হয় চাঁদার টাকা তুলে আরো জানা যায় বাবু ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে দীর্ঘদিন থেকে জড়িত রয়েছেন। রাজনীতির নাম ভাঙ্গিয়ে এমন কোনো কুকর্ম নেই যে সে করেনি।
অতএব, মহোদয় সূত্রোক্ত মামলার সুষঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে মামলা তদন্ত কার্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত উক্ত সন্ধিগ্ধ গ্রেফতারকৃত আসামী,মনির হোসেন বাবু (৩৪) কে জেল হাজতে আটক রাখতে মর্জি হয়।