নারায়ণগঞ্জনারায়ণগঞ্জ সদররাজনীতি
আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীর তিতাস অফিস ঘেরাও কর্মসূচিতে গণসংহতি আন্দোলনের সমর্থন

আজ ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ (রবিবার) গণসংহতি আন্দোলনের নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক তরিকুল সুজন ও নির্বাহী সমন্বয়ক অঞ্জন দাস সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃত্তিতে বলেন, গত এক মাস যাবৎ সমগ্র জেলাজুড়ে তীব্র গ্যাসের সংকট চলছে। শুরুর দিকে শহরের আশেপাশের অঞ্চলগুলোতে সমস্যা দেখা দিলেও এখন সেটা পুরো নারায়ণগঞ্জেই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এর প্রভাব নিশ্চিতভাবে প্রত্যেকটি মানুষের জনজীবনে পড়েছে। ভয়াবহ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নাগরিকদের স্বাস্থ্যগত দিক। যার সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী শ্রমজীবী মানুষেরা। সকালে কাজে যাবার আগে কিংবা কাজ থেকে ফেরার পর খাবার পাওয়া যাচ্ছেনা। না খেয়েই কাজ করতে হচ্ছে ১০/১২ ঘন্টা।
কোন কোন অঞ্চলে রাত ১ টার পর গ্যাস আসে। আবার ভোর না হতেই চলে যায়। জীবন বাঁচানোর তাগিদে সারারাত জেগে রান্না করতে হচ্ছে। মানুষের ঘুম হারাম করে দিয়েছে বর্তমান এই ফ্যাসিবাদী সরকার। একদিকে রান্নার জন্য চুলায় গ্যাস পাওয়া যাচ্ছেনা। অথচ গ্যাসের বিল পরিশোধ করে যেতে হচ্ছে প্রতিমাসে। অন্যদিকে চুলায় গ্যাস না পেয়ে মানুষকে বাধ্য হয়ে কিনতে হচ্ছে অধিক মূল্যের বোতলজাত গ্যাস। সিলিন্ডার গ্যাস কেনার যাদের সামর্থ্য নেই তারা ঝুঁকছেন ইলেক্ট্রনিক পণ্যের (রাইস কুকার, বৈদ্যুতিক চুলা) উপর। আর যারা একেবারেই নিরূপায়, সামর্থ্যহীন তারা খেয়ে না খেয়ে লাকড়ির চুলায় আগুন দিয়ে জীবন ধারণের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। গৃহিণীদের সারাটা দিনই চুলার পারে কাটাতে হচ্ছে। কখনো গ্যাসের আশায়, কখনো লাকড়ি জোগাতে, আবার কখনো বা রান্না করতে করতে।
অবিলম্বে বাসাবাড়িতে নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাসের যোগান নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, মানুষকে এমন জনদুর্ভোগের হাত থেকে অতিসত্বর নিস্তার দিতে হবে। ‘বাংলাদেশ গ্যাসের উপর ভাসছে’, ‘দেশে কখনো গ্যাসের সংকট হবেনা’ এহেন কথাবার্তা বলা মন্ত্রী/এমপিরা আজকে দেশকে সবচেয়ে বেশি বিপদের ফেলেছে। তারা মানুষের নাগরিক অধিকারকে সু্যোগে পরিণত করেছে। খাওয়া-পড়ার জন্য ২ ঘন্টার গ্যাসের ‘সুযোগ’ দিচ্ছে তারা। জনগণের সাথে এমন তামাশার জবাব দেওয়া হবে।
আগামীকাল অরাজনৈতিক সংগঠন আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী তিতাস গ্যাসের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি দিয়েছে। এই সপ্তাহের শেষে আমাদেরও কর্মসূচি আছে। নাগরিক অধিকার নিশ্চিতে আমরা সকলকে এই কর্মসূচিগুলোতে যোগদানের আহ্বান জানাই। যাতে করে সরকার জনগণের ন্যায্য হিস্যা বুঝিয়ে দিতে বাধ্য হয়। আগামীকাল অনুষ্ঠিত ঘেরাও কর্মসূচিতে আমরা নৈতিকভাবে সমর্থন জানাচ্ছি এবং কর্মসূচির সফলতা কামনা করছি।