নারায়ণগঞ্জসিদ্ধিরগঞ্জ

সিদ্ধিরগঞ্জে অপহৃত শিশু ১০ দিন পর কুমিল্লা থেকে উদ্ধার, নারী গ্রেফতার

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে অপহরণের ১০ দিন পর ওয়াসিমা আক্তার (৪) নামে এক শিশুকে কুমিল্লা থেকে উদ্ধার করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। শনিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া থানার হরিমণ্ডল গ্রাম থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।

এর আগে গত ১ নভেম্বর অপহৃত শিশু ওয়াসিমার বাবা মো. শহীদুল বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অপহরণ মামলা (যার নং- ০৩) দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রিপন খন্দকারের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে মামলার এজাহারভুক্ত ২ নাম্বার আসামি শেফালী বেগমকে (৪৫) গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত শেফালী বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার খাগলা গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের মেয়ে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ও অপহরণের শিকার শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের কান্দাপাড়া এলাকার নাজু মার্কেটের সামনে থেকে গত ২৭ অক্টোবর শিশু ওয়াসিমা অপহরণ হয়। এরপর শিশুটিকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে তার বাবা সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অপহরণ মামলা করলে থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রিপন খন্দকারের নেতৃত্বে এএসআই সোহেল রেজাসহ দু’জন কন্সটেবলের একটি দল শিশুটিকে উদ্ধারে কাজ শুরু করে।

তারা মামলার অন্যতম আসামি শেফালী বেগমকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেফতার করেন। এরপর গ্রেফতারকৃত নারী শেফালী বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তার ফোন রেকর্ড বিশ্লেষণ করে শিশুটিকে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া থানাধীন হরিমণ্ডল গ্রাম থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের ওই টিম অপহৃত শিশু ওয়াসিমা আক্তারকে উদ্ধার করে। শিশু ওয়াসিমার বাবা মো. শহীদ বলেন, আমি কিভাবে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশকে ধন্যবাদ দিবো সেই ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। তারা দিনরাত খেটে আমার মেয়েকে সহিসালামত আমার কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন। আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া। যারা আমার এই শিশু মেয়েকে অপহরণ করেছে তাদের শাস্তি কামনা করছি।

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মশিউর রহমান পিপিএম-বার বলেন, থানায় মামলা দায়েরের পর থেকেই থানা পুলিশ অপহৃত শিশু ওয়াসিমাকে উদ্ধারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করে। এরপর অভিযুক্ত নারী শেফালী বেগমকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করে ও তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার করে কুমিল্লা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও বলেন, পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে এ ঘটনার পেছনে ব্যাবসায়িক শত্রুতা থাকতে পারে তবে বিস্তারিত তদন্তর পর জানান যাবে। এদিকে গ্রেফতারকৃত শেফালী ৪ নভেম্বর আদালতে পাঠানো হয় এবং আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন বলেও জানান ওসি মশিউর।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close